তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বতেই শনিবার রাতে বীরভূমে বোমাবাজি, আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি ধৃতের স্ত্রীর

শনিবার রাতে বীরভূমের মাড়গ্রামে বোমাবাজি হয়। তাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ ধৃতের স্ত্রীর।

 

কংগ্রেস নয় ধৃতরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। সোমবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমনই দাবি করলেন ধৃত সুজ্জাউদ্দিন শেখের স্ত্রী সোনালী বেগম। তিনি শনিবার রাতের বোমাবাজির ঘটনাকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছেন। তবে নিজের স্বামী এবং দুই ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সোনালী। অন্যদিকে এদিন দুপুরে টানটান উত্তেজনার মধ্যে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে নিহত লাল্টু শেখের দেহ পৌঁছল গ্রামে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোটা গ্রামেই পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটো সাঁটো করা হয়েছিল। মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছতেই গ্রামে মানুষের ঢল নামে। সর্বক্ষণের জন্য মৃতের পরিবারের পাশে ছিলেন তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি।

 

Latest Videos

পাশাপাশি, ধৃত ছয়জনকে সোমবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে চারজন অর্থাৎ  সুজাউদ্দিন, তার দুই ছেলে সহ গাব্বার শেখের আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বাকি দুই অভিযুক্ত আকবর ও ছোট্টু মালের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক সৌভিক দে।

গত শনিবার রাতেই বোমার আঘাতে জখম হয় নিউটন শেখের। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লাল্টু শেখকে। রবিবার সকালে তারও মৃত্যু হয়। সোমবার দুপুরে তার শবদেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অন্যতম অভিযুক্ত সুজাউদ্দিন মাড়গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। ২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত তিনিই মাড়্গ্রাম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়ে ভুট্টু শেখকে পঞ্চায়েত প্রধান করার পরই সুজাউদ্দিন ও ভুট্টুর দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে যোগ দেয় সুজাউদ্দিন। মাস তিনেক আগে কংগ্রেসে ফিরে যান সুজাউদ্দিন। সৈয়দ সিরাজ জিম্মি জানান, সুজাউদ্দিন বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপিতে যোগ দেয়। পরে কংগ্রেসে যোগ দেয়। ভুট্টু এলাকায় ভালো তৃণমূল সংগঠক ছিল। সেকারণেই তার এত আক্রোশ। যদিও সুজাউদ্দিনের স্ত্রী সোনালী বেগমের দাবি তাঁর স্বামী তৃণমূল করে। তিনি রামপুরহাট মহকুমা আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমার স্বামী এখনও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। নিয়মিত পঞ্চায়েতের সভায় হাজির হয়ে খাতায় সই করেছেন। কেউ কেউ মিথ্যা করে স্বামী কংগ্রেসে ঢুকেছে বলে দাবি করছেন। এটা তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাছাড়া যারা মারা গিয়েছে দুজনেই স্বামীর সঙ্গে থাকত। এখন যিনি প্রধান রয়েছেন তিনিও স্বামী হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছেন। তবে স্বামী ঘটনার সঙ্গে কোনভাবে যুক্ত ছিল না। তাঁর স্বামী বাড়িতেই ছিল। ছেলেরা খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমোচ্ছিল। সে সময় পুলিশ তুলে নিয়ে গেল। স্বামী ও ছেলেরা নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি।

সরকারি আইনজীবী সুরজিত সিনহা বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ফের চারজনকে আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর বাড়ি বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সকলে নির্দোষ। ধৃত সুজ্জাউদ্দিন এখনও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। রাজনৈতিক কারনেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

'সাধারণ মানুষের জন্যই তিনি রয়েছেন', ডিলিট পেয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আলিপুরদুয়ারে বিজেপির শক্ত জমিতে ফাটল, তৃণমূলের হাত ধরলেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল

ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে বাম-কংগ্রেসকে একযোগে নিশানা অমিত শাহ, বলেন কমিউনিস্টদের ফিরতে দেবেন না

Share this article
click me!

Latest Videos

Guyana-র সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন স্কুলে Narendra Modi, কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News