
জুনপুটের সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তরুণীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। কারণ তরুণীকে খুন করা হয়েছে না তরুণী আত্মহত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কারণ। যদিও মৃত তরুণীর পরিবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তরুণীর প্রেমিককে। তাদের অভিযোগ প্রেমিকও গোটা ঘটনার জন্য দায়ী। ইতিমধ্যেই প্রেমিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পরিবারের দাবি অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবর বিকেল তিনটা ৩০ মিনিট নাগাদ প্রাইভেট টিউশন মাস্টারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বছর ১৫-র তরুণীর অর্চনা পণ্ডিতের। সন্ধ্যের পেরেয়ে রাত বাড়তে থাকে। চিন্তিত হয়ে পড়ে তরুণীর পরিবার। পরিবার ও প্রতিবেশীরা তরুণীর খোঁজ খবর শুরু করে। কিন্তু কোনও সন্ধান পায়নি। শেষপর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা কাঁথি থানার দ্বারস্থ হয়। সেই রাতেই কাঁথি থানার পুলিশ জানতে পারে জুনপুটে সমুদ্র সৈকতের তীরবর্তী ঝাউ বন থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দেহ চিহ্নিত করণের জন্য ডেকে পাঠান হয়।
ঝাউ বন থেকেই বছর ১৫র তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। গলা, হাত পায়ে ওড়না জড়ান ছিল মৃতদেহের। মৃতদেহের মাথাতেও ওড়না জড়ান ছিল। জুনপুর কোস্টাল থানার পুলিশ কদুয়া এলাকা থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা রাতেই দেহ শনাক্ত করেন। পরিবারের সদস্যরা সেই সময়ই তরুণীর প্রেমিকের দিকে সন্দেহের আঙুল তোলেন। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।