
SIR-এরর বিরোধিতায় মতুয়াদেক জন্য ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে অনশন করছেন দাদা। আর দাদার দুশ্চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ভাইয়ের। এমনই অভিযোগ পরিবারের। মৃতের নাম প্রফুল্ল মণ্ডল। তিনি নদিয়ার বাসিন্দা।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ঠাকুরের সঙ্গে অনশনে বসেছেন মৃতের দাদা নিতাই মণ্ডল। রবিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে ব্যাথা আর ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। খবর যায় বাড়িতে। সেই সময়ই বাড়িতে ঘটে যায় চরম অঘটন। মৃত্যু হয় ভাইয়ের।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িতে আন্দোলন চলছে এসআইআর-এর প্রতিবাদে। এখনও পর্যন্ত ৯ জন অসুস্থ হয়েছে। প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, 'এসআইআর- আতঙ্কে মানুষের মৃত্যু-সহ মতুয়াদের অনশন নিয়ে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই নির্বাচন কমিশনের। আসলে শান্তনু ঠাকুর ও কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে মতুয়ারা ধ্বংস হয়ে যাক। আর সেটা কার্যকর করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।'
এসআইআর হলে রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেছিলেন, দেখা যাবে বাদ যাওয়াদের তালিকার ৯৫ শতাংশই মতুয়া। আতঙ্কে সকলে সিএএ-র ফর্মপূরণ করছে বলে জানিয়েই প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন সাংসদ। বিজেপির ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গত ৫ নভেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন। বিশেষ কাজে বাইরে ছিলেন বলে ভারচুয়ালি অনশনের সূচনা করেন মমতাবালা। সোমবার অনশন মঞ্চে তিনি যোগদান করবেন বলেও জানিয়েছেন।
SIR নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'যেন তেন প্রকারে বাংলা থেকে ২ কোটি মানুষের নাম বাদ দেওয়ার প্ল্যান করছে। ' তিনি নিশানা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, একে তো দেশে মীরজাফর আছে, যাঁর হাতে রক্তের দাগ রয়েছে। আপনি কী ভাবছেন, ওরা স্বর্গে যাবে? নিজের দলেই কত বিভেদ। তিনি আরও বলেন, গদিওয়ালারা ভাবছে যেন তেন ভাবে ২ কোটি লোকের নাম বাদ দিয়েই ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া কথা। তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। এসআইআর- প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রাতারাতি নোটবন্দির কথা টেনে আনেন। তিনি বলেন, 'আমি প্রথম দিন থেকেই প্রতিবাদ করেছিল। কোনও কালো টাকা ফেরত এসেছে? উপরন্তু গেছে! ১০০র ওপর লোকের মৃত্যু হয়েছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছিল।' তিনি আধার কার্ড নিয়েও কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, আধার কার্ড করতে লেগেছিল, প্রত্যেককে ১০০০ টাকা করে নিয়েছিল। চুরি করেছিল! যদি আধার কার্ড বানাতে প্রত্যেক ভোটারের কাছ থেকে ১০০০ টাকা করে নিল, তাহলে এখন কেন বলছে আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়? এদিকে, ব্যাঙ্কেও লিঙ্কের জন্য আধার নম্বর লাগে! মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। দিল্লি থেকে এই সরকারকে সরাও। কোনও আধারের প্রয়োজন পড়বে না। এখন আবার কাস্ট সার্টিফিকেট দিচ্ছে। কত কার্ড বানাবে?