২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণা। বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস পরেই তিনি বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করেন।
দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জের খেলা ঘুরিয়ে দিলেন। তাঁর হাত থকেই এই প্রথম রায়গঞ্জে ঘাসফুল ফুটল। ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী মানস কুমার ঘোষকে পরাজিত করেন তিনি। জেতার পরই কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য তিনি কাজ করবেন। তিনি আও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য ৭৪টি প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। সেই কাজ দেখেই রাজ্যের মানুষ ভোট দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন এবার ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণ হয়নি।
২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণা। বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস পরেই তিনি বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করেন। যদিও বিধায়ক পদ ছাড়েননি। যাইহোক, লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনে সেই ফাঁক পুরাণ করে দিলেন দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে এদিন ভোটে জিতে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে এসে মোদী সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়েছিলেন। জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে মানুষ বিভ্রান্ত হয়েই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এখন নাকি মানুষ বুঝেশুনেই তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে।
এই রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে এখনও পর্যন্ত একবারও জিততে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্র বরাবরই ছিল বাম ও কংগ্রেসের দখলে। রাজ্যে পালাবদলের পরেও ২০১১ ও ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী। ২০২১ সালে বিজেপি। এবার বিজেপির টিকিটে জেলা কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হলেন।