ভুলে যাবেন লক্ষ্মীর ভান্ডার! এবার আধার-প্যান জমা দিলেই অ্যাকাউন্টে মিলবে ৫০০০ টাকা!

Published : Aug 09, 2024, 09:03 AM IST

লক্ষ্মীর ভান্ডার কেবলমাত্র মহিলাদের দেওয়া হয়, কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে বন্দোবস্ত করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ছেলে মেয়ের কোন পার্থক্য থাকবে না। জেনে নিন সেই প্রকল্প সম্পর্কে। 

PREV
110

আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দিক দিয়ে রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের হাত খরচের জন্য চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প।

210

গোটা দেশে যে সব সরকারি প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারি প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

310

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে এখনো অনেক পরিবার রয়েছে যাদের কাছে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া এই ১০০০ অথবা ১২০০ টাকা সংসার চালানোর ক্ষেত্রেও অনেকটাই সাহায্য করে থাকে।

410

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হতো। বর্তমানে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা।

510

এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ডের তথ্য জমা দিয়ে অ্যাকাউন্টে ৫০০০ টাকা দেওয়ার জন্য একটি বন্দোবস্ত করা হলো। রাজ্য সরকারের এমন বন্দোবস্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।

610

এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কারা এই টাকা পাবেন এবং কোন পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এমন টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে? কাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে এই টাকা, এবার জেনে নিন।

710

রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার কেন্দ্রীয় বাজেটে রাজ্যের তাঁত শিল্প ও তন্তুজীবীদের জন্য কোন ঘোষণা তো দূরের কথা বরাদ্দটুকু করা হয়নি। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁতিদের জন্য রাজ্য সরকার এমন বন্দোবস্ত করেছে। এই বন্দোবস্তের পরিপ্রেক্ষিতে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

810

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁতিদের কথা মাথায় রেখে এবার এককালীন কো অপারেটিভ ব্যাংকের ঋণ মুকুব, এককালীন ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য, সুতো ক্রয় করার ক্ষেত্রে ১০% ছাড়, তাঁতঘর মেরামতি করা থেকে শুরু করে সরঞ্জাম কেনা ইত্যাদির জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাঁতঘর মেরামতি থেকে শুরু করে সরঞ্জাম কেনা ইত্যাদির জন্যই এককালীন ৫০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

910

এর পাশাপাশি ৬০ বছরের কম বয়সী কোন তাঁত শিল্পী বা তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীর মৃত্যু হলে তার পরিবারের সদস্যদের এককালীন দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এই সকল সুবিধা পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন পত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

1010

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে সকল হ্যান্ডলুম অফিস রয়েছে সেই সকল অফিসে আবেদন পত্র গ্রহণ চলছে। যেমন শান্তিপুরের হ্যান্ডলুম অফিসে সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত আবেদন পত্র গ্রহণের কাজ চলছে। রাজ্য সরকারের এমন ব্যবস্থাপনায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি রাজ্যের তাঁত শিল্পীরা।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories