Calcutta High Court: চারবছর পর মুখে হাসি ফুটল সুন্দরবনবাসীর, রাজ্যকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ আদালতের

Published : Jun 14, 2025, 02:12 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

West Bengal News:  নদীর ধারে বাস ভাবনা বারো মাস। সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যকে একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ আদালতের। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

Sundarbans: একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় তছনছ করে দিয়েছে সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকার মাটির নদী বাঁধগুলি। একের পর এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে সুন্দরবনে। ২০২১ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তছনছ করে দিয়েছে সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলি। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ মৌশুনী। কলকাতার কাছে পিঠে পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম ডেস্টিনেশন মৌশুনী দ্বীপ । ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তছনছ করে দিয়েছে মৌশুনি দ্বীপের মাটির নদী বাঁধগুলি। 

মাটির নদী বাঁধ ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল এলাকাবাসীরা। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কংক্রিটের নদী বাঁধ। কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবিতে বারবার আন্দোলনে ও সামিল হয়েছিল মৌশুনি দ্বীপের মানুষজনেরা। মৌশুনী দ্বীপের স্থানীয়দের মাটির নদী বাঁধে দাবি নিয়ে আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে।

দীর্ঘ চার বছর  পর ওই মামলার অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দে দাসের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। শুধু কংক্রিটের নদী বাঁধ নয়, মৌশুনী দ্বীপের এলাকাবাসীদের জন্য স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে একাধিক দায়ভার নিতে হবে রাজ্য সরকারকে এমনই শুনানি দেয় বিচারপতি। আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত বিষয়গুলির গুরুত্ব সঙ্গে বিবেচনা করার নির্দেশ দেয় সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল-

মৌসুনি দ্বীপের স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ। এছাড়াও এলাকাবাসীদের স্বাস্থ্যর কথা মাথায় রেখে মৌসুনি দ্বীপে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির নির্দেশ দেয় এর পাশাপাশি পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব না পড়লে একটি সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা বিবেচনা এবং দ্বীপটি সার্বিক অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানোর নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।

কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর খুশি সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকার মানুষেরা। দীর্ঘ চার বছরের সংগ্রাম লড়াইয়ের পর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙনের হাত থেকে এলাকাবাসীদের রক্ষা করার জন্য যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশে খুশি এলাকার মানুষজনেরা। এই বিষয়ে আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী তিনি জানান , বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক বিপর্যয় তছনছ হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকা। 

২০২১ সালে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে তছনছ হয়ে গিয়েছে মৌশুনি দ্বীপ সেই সময় মৌসুনি দ্বীপ বাসিকে ত্রাণ দিতে গিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম যে মৌশুমী দ্বীপে নেই কোন কংক্রিটের বাঁধ। কংক্রিটের নদী বাঁধ না থাকার কারণে প্রায়ই সময় বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় মাটির নদী বাঁধ ভেঙে গিয়ে এলাকা প্লাবিত হয় চাষের জমি নষ্ট হয় পুকুরের মাছ নষ্ট হয় এলাকাবাসীদের। এছাড়াও মৌশুনী দ্বীপে স্বাস্থ্য নেই বললেই চলে একাধিক বিষয় নিয়ে ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করি টানা চার বছর সেই মামলা চলার পর অবশেষে মৌশুনি দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য একটি রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে মৌসুনি দ্বীপের স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ, এছাড়াও একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন এবং পরিবেশের উপর যদি প্রভাব না পড়ে তাহলে একটি ব্রিজ নির্মাণ যদি একটি সেতু নির্মাণ করা যায় তাহলে যাতায়াতের যেমন সুবিধা হবে তেমনি পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠবে মৌশুনি দ্বীপ। এছাড়াও মৌশুনি দ্বীপের সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এই জয় শুধু আমার একার নয় এই জয় মৌশুনি দ্বীপের বাসিন্দাদের জয়। এ বিষয়ে মৌশুনী দ্বীপের বাসিন্দা সঞ্জয় পাইক তিনি বলেন, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা অত্যন্ত খুশি হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে যদি স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ করা যায় তাহলে আর নদী বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হবে না।

নদীর নোনা জলে নষ্ট হবেনা জমির ফসল পুকুরের মাছ। এলাকাবাসীদের উন্নয়ন হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলতে এলাকায় রয়েছে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সঠিক সময় চিকিৎসকের দেখা মেলে না যদি মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর যদি এলাকায় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয় তাহলে দ্বীপ এলাকারবাসিরা অনেকটাই উপকৃত হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে মৌশুনীদ্বীপবাসি হিসাবে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং ধন্যবাদ জানাই মহামান্য বিচারপতিদের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

চাপের মুখে বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের, দেখুন কী বলছেন
এসআইআর আবহে বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার হিড়িক! মালদহ মেডিক্যালে চাঞ্চল্য