মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই মামলাই উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্য প্রশাসনের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী আদালতে লড়াই করছেন। এই দৃষ্টান্ত কখনই সুখবর নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের করা মামলায় এমনই মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি কৃষ্ণা রাও রাজ্যের প্রশাসনিক দুই প্রধানকে বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আদালতে লড়াই না করে দুই পক্ষই চায়ে পে চর্চায় বিষয়টি মিটিয়ে নিক।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই মামলাই উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের আইনজীবী হলফনামা দাখিলের জন্য অতিরিক্ত মসয় চান। বিচারপতি বলেন, 'আরও সময় চাইছেন? মামলাটি নিয়ে আপনি সিরিয়াস তো? রাজ্যপালের মামলার কী দরকার?' পাল্টা কটাক্ষ করেন মমতার আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এমনিতে রাজ্যপাল রক্ষাকবচ ন। রাজ্যপালের এই ধরনের পদক্ষেপের কথা সংবিধান রচয়িতারা চিন্তা করতেননি। তা হলে এমন আইন বনাতেন না।'
তবে বিচারপতি এই মামলায় মৌখিকভাবে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, মামলাটি কোর্টের বাইরে মিটিয়ে নেওয়ার। আদালত বলেছে,'দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হল। দুই পক্ষ মিটিয়ে নিক। আগামী ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।' কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'চায়ে পে চর্চায় সমস্যা নেই। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আরও সহনশীল হওয়া জরুরি।' তবে কল্যাণের পাল্টা রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, 'আমার মক্কেল একেবারেই রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। তিনি একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন।' তবে কল্যাণ বলেন, রাজ্যপাল রাজনৈতিক ব্যক্তি বলেই এই মামলা করতে পেরেছেন। রাজ্য ও রাজভবন দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিভি আনন্দ বোস দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। শেষ সমস্যা তৈরি হয়েছিল রাজভবনে এক আধিকারিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায়। সেই সময় তৃণমূল রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।