কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায় বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি হবে। বুধবার দলের নেতা কর্মীরা ৮ ঘণ্টায় পথেই অবস্থান করবেন।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট সেই কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তাই বুধবার অর্থাৎ ৫ অগাস্ট ঘেরাও কর্মসূচি না থাকলেও এই দিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হবে। দলের পক্ষ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন বিধায়ক তাপস রায়। তিনি বলেন, ওই দিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ আদায়ের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাবে।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন বুথে বুথে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ব্লক স্তরে এই কর্মসূচি হবে। ঘেরাও শব্দটি তিনি ব্যবহার করেননি। তবে অভিষেকের ঘোষণা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। তাতেই আদালত ওই কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি বলেন, কেউ যদি বলেন, কাল হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না? কেউ যদি কোথায় বোমা রাখা হবে বলে তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না?
কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পরই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায় বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি হবে। তবে কারও কোনও সমস্যা তৈরি না করে দলীয় সংস্কৃতি ও শৃঙ্খলা মেনে দলের কর্মীরা বাংলার প্রতিটি ব্লকে রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হবে। বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্র অর্থনৈতিক অবরোধ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। আট ঘণ্টা পথেই থাকবে ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা।
যদিও বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখের চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে গেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁর ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুকআউট নোটিশও তুলে নিয়েছে ইডি।