
SSC new rules: ২০২৫ সালে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা বিধি নিয়ে সরব রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা বিধিতে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু যা সুপ্রিম কোর্টের বিধি মানেনি, তেমনই অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে একটি মামলা। সেই মামলার শুনানি হবে আগামী ৫ জুন। সুপ্রিম কোর্টের বিধি না মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করায় ইতিমধ্যেই আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব, কমিশনার, এসএসসি চেয়ারম্যাম ও মধ্যশিক্ষ পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে। তাদেরকে এক আইনজীবী ইতিমধ্যেই আদালত অবমাননার নোটিশও পাঠিয়েছেন। তাঁরা ইচ্ছেকৃতভাবে আদালত অবমাননা করছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
নতুন নিয়মে লিখিত পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে অ্যাকাডেমিক যোগ্যতার নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারকারণে প্রার্থীদের মেধা মূল্যায়নে স্বচ্ছতার অভাব দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর ধার্যকরা হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এটি পুরনোদের বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার একটি কৌশলমাত্র।
মামলাকরীদের আইনজীবী জানিয়েছেন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম কার্যকর না করে ২০১৬ সালের নিয়ম মেনেই প্যানেল পুনর্গঠন করা উচিৎ। নতুন নিয়মগুলির মধ্যে পুরনো অনিয়মকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
অ্যাকাডেমিক যোগ্যতার নম্বর কমানো, ইন্টারভিউয়ের নম্বর বাড়ানো এবং অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর যুক্ত করার ফলে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ও ম্যানিপুলেশনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন মামলাকারীরা।
এই মামলার শুনানি হতে পরে আগামী ৫ জুন , অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ মামলাকারীর আইনজীবীদের। কারণ সুপ্রিম কোর্ট চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতনের টাকা ফিরতের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ওএমআর প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যদের পাশাপাশি অযোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।