একই জায়গায় থাকলেও মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়না কেষ্টর। আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে একবার আধ ঘন্টার জ্য একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। এই শনিবারও দ্বিতীয়বারের মতো অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন সুকন্যা।
তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল। তার প্রতাপে এককালে একঘাটে জল খেত বাঘে-গরুতে। কিন্তু জেলবন্দী অবস্থায় একেবারে অন্য রূপ দেখা গেল দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা কেষ্টর। তিহাড় জেলে মেয়েকে দেখে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন তিনি। বাবাকে দেখে চোখে জল এল মেয়ে সুকন্যারও। শনিবার এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল তিহাড় জেল। গরুপাচার মামলায় আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। একই জায়গায় থাকলেও মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়না কেষ্টর। আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে একবার আধ ঘন্টার জ্য একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। এই শনিবারও দ্বিতীয়বারের মতো অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন সুকন্যা।
গ্রেফতার হওয়ার পর গত শনিবার দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হয় বাবা-মেয়ের। সুকন্যাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন প্রতাপশালী তৃণমূল নেতা কেষ্ট। মেয়েকে বললেন, ইডির তলবে হাজিরা দিতে দিল্লি আসা তাঁর মোটেও উচিত হয়নি। সুকন্যা জবাবে বলেন, ইডি যে ভাবে তাঁকে বার বার তলব করছিল তাতে না এসে আর কোনও উপায় ছিল না। সুকন্যা জানায় গ্রেফতারির পর অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও ইডি অনুমতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, মেয়ের সঙ্গে দেখা হওয়া ইস্তক অনুব্রতর মুখে এই এক কথাই বারবার শোনা গিয়েছে, সুকন্যার হাজিরা দিতে আসা উচিত হয়নি। এর আগেও মেয়েকে দেখে এই একই কথা বলেছেন তিনি। গত শনিবার প্রথমবারের জন্য তিহাড় জেলে মেয়ের মুখোমুখি হলেন কেষ্ট। মেয়ে 'রুবাই'কে দেখে হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। দীর্ঘদিন পর মেয়েকে দেখে অবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দোর্দন্ডপ্রতাপ অনুব্রত। সুকন্যাকে জড়িয়ে ধরেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথাবার্তা চলে বাবা-মেয়ের মধ্যে। তিহাড় জেলে মেয়েকে দেখে একটাই প্রশ্ন করেন আবেগপ্রবণ অনুব্রত। সুকন্যাকে দেখে কেষ্টর প্রশ্ন,'হাজিরা দিতে কেন এলি রুবাই?' বাবাকে দেখেই তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন সুকন্যা। ওষুধ ঠিক মত খাচ্ছেন কিনা জানতে চায় মেয়ে সুকন্যা। ইডি হেফাজতের পর দিল্লির তিহাড় জেলে কেষ্ট-কন্যা। মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত। আদালতের তরফে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন -
মানুষের জন্ম-মৃত্যুর রিপোর্ট রাখতে হবে কেন্দ্রের নিয়মে, রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক