সংক্ষিপ্ত

নবান্ন থেকে সম্বিতের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ভালো থেকো, সুস্থ থেকো, আনন্দে থেকো’। 

২০২৩ সালের আইসিএসই পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন মোট ৯ জন ছাত্রছাত্রী। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও রয়েছেন এক কৃতী ছাত্র। তিনি হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্সের স্কুলের ছাত্র সম্বিত। পরীক্ষা ভালো হওয়ায় ফলাফল যে ভালোই আসবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন সম্বিত, কিন্তু, ফলাফল যে এতটা ভালো হয়ে যাবে, যাতে তিনি সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে নিতে পারবেন, এতটা তিনি আশা করতে পারেননি। তাঁর সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই যেমন আনন্দে ভাসছেন তাঁর বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা, তেমনই আনন্দিত হয়েছেন তাঁর স্কুলের অন্যান্য ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। আর, এবার তাঁর কাছে অভিনন্দন স্বরূপ চিঠি পাঠালেন স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ICSE পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র প্রথম স্থানাধিকারী হওয়ার পর সম্বিতের লক্ষ্য কী? কৃতী পড়ুয়া জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে জেইই মেইন এবং জেইই অ্যাডভান্স পরীক্ষা দিয়ে তিনি আইআইটিতে পড়াশোনা করতে চান। তাঁর জীবনের লক্ষ্য হল, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠা। সারা ভারতের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন সম্বিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্ত ৪৯৯, অর্থাৎ ৯৯.৮ শতাংশ। এত নম্বর পাওয়া সম্ভব হল কীভাবে?

সংবাদমাধ্যমের কাছে সম্বিত জানিয়েছেন, পাঠ্যবইটি খুঁটিয়ে পড়তে হয়। যে প্রশ্নই আসুক না কেন, পাঠ্য বই খুঁটিয়ে পড়লে সব উত্তরই থাকে নখদর্পনে। একইসঙ্গে তিনি জানান, পরীক্ষার আগের দিন কখনওই তিনি রাত জেগে পড়াশোনা করেননি। বরং, নিজেই নিজের রুটিন বানিয়ে সারা বছর ধরে পড়াশোনা করে গেছেন। আলাদা আলাদা বই দেখে নিয়মিত প্রশ্ন-উত্তরও সমাধান করেছেন সম্বিত। তাঁর পড়াশোনার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় ছিল না।

তাঁর উদ্দেশ্যে নবান্ন থেকে চিঠি পাঠিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ICSE, 2023 পরীক্ষায় তোমার অসাধারণ সাফল্যে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। তোমার পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর মনসংযোগের ফল তুমি পেয়েছ। তোমাকে অনেক অনেক অভিনন্দন।’

আইসিএসই পরীক্ষায় ভারতের দ্বিতীয় স্থানাধিকারীদের মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছেন ৫ জন ছাত্রছাত্রী। পার্ক স্ট্রিটের অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চের অনুরাগ নন্দী, মালদার নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ অ্যাকাডেমির তৃষা বিহানি, কলকাতার ডে পল স্কুলের শ্রেয়সী বিশ্বাস, জোকার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের সাবিক ইবন খান, কলকাতার গার্ডেনরিচ হাই স্কুলের আরণ্যক রায়। এঁদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮।

আরও পড়ুন-

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর এ কি রূপ! এস জয়শঙ্করের ছবি দেখে ‘মোদী এফেক্ট’ বলে দ্বিধাবিভক্ত নেটদুনিয়া
মানুষের জন্ম-মৃত্যুর রিপোর্ট রাখতে হবে কেন্দ্রের নিয়মে, রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

সুপার সাইক্লোন ‘মোকা’-র আঘাতে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ মায়ানমার, পশ্চিমবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া?