এর আগেই কেষ্ট-কন্যার বয়ানে শোনা গিয়েছে টাকা ও সম্পত্তির বিষয় যা কিছু সব 'বাবা' জানে। এবার সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে অনুব্রতকে জেরা ইডির।
বৃহস্পতিবার চার পাতার প্রশ্নপত্র নিয়ে আসানসোল জেলে হাজির দিল্লির ইডি অফিসাররা। গতকাল রাতেই রাজধানী থেকে কলকাতায় পৌঁছেছিলেন তাঁরা। এবার গোরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সোজা আসানসোল জেলে হাজির তদন্তকারীরা। এই প্রথম অনুব্রতকে আসানসোল জেলে গিয়ে জেরা করলেন তাঁরা। ইডি সূত্রে খবর অনুব্রতকে জেরা করার জন্য তৈরি হইয়েছিল চার পাতার প্রশ্নপত্র। বিপুল টাকার লেনদেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ কোটি কোটি টাকা থেকে শুরু করে আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পত্তি-সহ একাধিক বিষয় প্রশ্ন করা হয়েছে কেষ্টকে। এর আগেই কেষ্ট-কন্যার বয়ানে শোনা গিয়েছে টাকা ও সম্পত্তির বিষয় যা কিছু সব 'বাবা' জানে। এবার সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে অনুব্রতকে জেরা ইডির। জানা যাচ্ছে, অনুব্রত অসহযোগিতা করলে আদালতের কাছে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদনও জানাবে তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, বৌ, অনুব্রতর মেয়ের দুটি সংস্থা ও ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ও কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন, এঁদের মোট ৮ টি অ্যাকাউন্টে চার বছরে জমা পড়া টাকার পরিমাণ নগদ ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ। এই বিপুল টাকার খোঁজ মেলার পরই টাকার উৎস জানতে শুরু হয় তদন্ত। কী কারণে এত নগদ টাকা নেওইয়া হয়েছিল? কারাই বা এই টাকা জমা দিয়েছিল? নগদ টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে তা মানা হয়েছিল কি না, ইত্যাদি নানা বিষয় খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই লটারি সংস্থার ওয়েবসাইটে এক কোটি টাকার বিজেতা হিসেবে নাম উঠে আসে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। কেষ্টর লটারি জেতা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হলেও হেয়ালি কাটেনি। এরপর ফের একবার কোটি টাকার লটারি জেতেন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরা গুপ্ত। এরপরই ডিয়ার লটারি প্রসঙ্গে তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায় 'ডিয়ার লটারি আদতে ভাইপো লটারি।' ঘটনার পরই সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকায় আগে এই লটারি সংস্থা। জোরকদমে শুরু হয় তদন্তও।
গোরুপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়। একই সপ্তাহের শুক্রবার বোলপুরের গাঙ্গুলি লটারি দোকানে পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের সন্দেহ এই লটারির মাধ্যমে গোরুপাচারের মোতা অঙ্কের কালো টাকা সাদা করা হত। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে লটারি এজেন্টকে জেরাও করা হয়। অনুব্রত মণ্ডল আদৌ নিজে গিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন নাকি অন্য কারোর মাধ্যমে টিকিট কেটেছিলেন সেবিষয়ও জানতে চাওয়া হয়।
শুক্রবার সকালে গোতা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে সোজা বোলপুরের লটারি দোকানে পৌঁছয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর সিবিআই-এর তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের লটারি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি যত দ্রুত সম্ভব সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ফের লটারি দোকানের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও সূত্র মারফত খবর
আরও পড়ুন -
পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে ছিল দিলীপ ঘোষের দলিল, এবার সেই দলিলে পাওয়া গেল আরও জোরালো তথ্য
শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ নিতিন গডকরি, গ্রিন করিডোর করে নিয়ে যাওয়া হল চিকিৎসক