উল্লেখ্য তৃণমূলের বিভিন্ন সভাতেও সম্প্রতি দেখা যায়নি অনুব্রতর ছবি। এমনকী 'নবজোয়ার' কর্মসূচিতেও কোথাও নেই অনুব্রত।
সম্পত্তি বলতে রয়েছে শুধু মাত্র পৈতৃক বাড়ি। বীরভূমে অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের বাকি সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ছাড় পেয়েছে একমাত্র বোলপুরের পৈতৃক বাড়ি। এবার প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে মামলা চালানোর এই বিপুল খরচ জোগাবে কে? ইতিমধ্যেই এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। এই দুঃসময় কি দলকে পাশে পাবেন বীরভূমের দাপুটে নেতা? কেষ্টর ঘনিষ্ট মহল সূত্রে অবশ্য দাবি যত দিন যাচ্ছে দলকেও সেভাবে পাশে দেখা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য তৃণমূলের বিভিন্ন সভাতেও সম্প্রতি দেখা যায়নি অনুব্রতর ছবি। এমনকী 'নবজোয়ার' কর্মসূচিতেও কোথাও নেই অনুব্রত।
এই মুহূর্তে আসানসোল আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এবং দিল্লির আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের নামে চলছে একাধিক মামলা। এর সঙ্গে রয়েছে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের মামলাও। এতদিন যাঁরা এই মামলা লড়ছিলেন তাঁদের পারিশ্রমিক কয়েক লক্ষ টাকা। কিন্তু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর কে বা কারা জোগাবে মামলা চালানোর এই বিপুল পরিমাণ টাকা? উঠছে প্রশ্ন।
বুধবার প্রথমেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এই দিন আবার নতুন সমস্যার মুখে পড়তে হল জেলবন্দী কেষ্টকে। বুধবার জানা গিয়েছে কেষ্ট ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সমস্ত সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। গরু পাচার মামলার শুরু থেকেই অনুব্রতর একাধিক হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবি ও কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামেও বিপুর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই সব সম্পত্তি অ্যাটাচ করল ইডি। তিহাড় জেলে বন্দী তৃণমূলের দাপুটে নেতার জন্য ইডির এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহেই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে মোট ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে। এছাড়াও ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল সিবিআই। অন্যদিকে বুধবারই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের অভিযোগও তোলেন সুকন্যা।