নভেম্বর মাসে বাড়িতে তল্লাশি, তারপর জানুয়ারি মাসে সরাসরি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ। দুই তৃণমূল নেতার দিকে নজর সিবিআইয়ের।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আবার শাসকদলের নেতাদের তলব। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এবং বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করল সিবিআই (CBI) । এদিন সকাল ১১ টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে দেবরাজ চক্রবর্তী এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে আগেই তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টেও এই দুই তৃণমূল (TMC) নেতার নামে রিপোর্ট জমা পড়েছে । বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই দাবি করেছে যে, দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্য, এই দু'জন ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতিতে মাধ্যম হিসাবে কাজ করেছেন মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর এবং সৌরভ ঘোষ। এঁদের ঠিকানায় তল্লাশি করেও বহু নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সব নথি বর্তমানে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই (CBI) ।
দেবরাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী অদিতি মুন্সি শাসকদল তৃণমূলের বিধায়ক। তাঁর বাড়িতে সিবিআই ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তল্লাশি করেছে । অদিতি মুন্সি একজন সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর গানের স্কুলেও তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি টেট পরীক্ষার (TET Exam) মার্কশিট এবং বদলির আবেদনপত্র পাওয়া গেছে দেবরাজের কাছ থেকে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সেই দিনেই কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাপ্পাদিত্যর সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক রাজনৈতিক ছাড়াও আর্থিক লেনদেন পর্যন্তও বিস্তৃত ছিল। সেই লেনদেনের পরিমাণ কত ছিল এবং কোন যুক্তিতে হয়েছিল, সব বিস্তারিত জানার জন্যই হানা দিয়েছিল সিবিআই (CBI) ।