আবাস যোজনার অধীনে বাংলায় ঘর বণ্টনের ক্ষেত্রে যারা যারা দুর্নীতি করেছেন, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বরাদ্দ টাকাই পাঠানো বন্ধ করে দেবে কেন্দ্র সরকার।
বাংলা থেকে আবাস যোজনার ঘর বণ্টনের ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে কারা যুক্ত ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে শাস্তি না দিলে বরাদ্দ টাকাই পাঠানো বন্ধ করে দেবে কেন্দ্র সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়ে একথা জানাল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর। চিঠিতে বলা হয়েছে, আবাস যোজনা কাজ পরিদর্শন করে এরাজ্যে একাধিক দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় দল। এমনকী বাংলায় এই প্রকল্পের নামও বদলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে জানানো হয়েছে, আবাস যোজনার তালিকায় প্রায় ১০ লক্ষ ভুয়ো নাম ঢোকানো হয়েছিল। এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনও বরাদ্দই পাঠাবে না কেন্দ্র। গ্রামোন্নয়ন দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলায় অগুন্তি বেনিয়ম ধরা পড়েছে। প্রকল্পের নামও বদলে করে দেওয়া হয়েছিল ‘বাংলা আবাস যোজনা’। এই দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার রিপোর্ট ১০ মার্চের মধ্যে দিতে হবে।
গত নভেম্বরে পশ্চিমঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার বাড়ি তৈরির জন্য ১৩,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাগের ৭,৮০০ কোটি টাকা দিতে তারা তৈরি বলেও জানানো হয়। রাজ্য সরকার ৩১ মার্চের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করতে চায়। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, যারা আবাস যোজনার তালিকায় ভুয়ো নাম ঢুকিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করলে টাকা পাঠানো হবে না।
এই নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকার ৫ জানুয়ারি জানিয়ে দিয়েছে আবাস যোজনার ৫০ লক্ষ আবেদনের মধ্যে ১৭ লক্ষ ভুয়ো আবেদন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু দিল্লি এখন নতুন শর্ত দিচ্ছে, আবাস যোজনার নথিতে যেগুলির উল্লেখ নেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যাতে রাজ্যে আবাসের ঘর তৈরি না হয়, সেজন্য তারা এই কাজ করছে।’
আরও পড়ুন-
দীর্ঘদিন ধরে ‘শারীরিক অসুস্থতা’ বলে অবশেষে ইন্টারনেটে ভিডিয়ো থেকে শিখে সন্তান প্রসব করল মহারাষ্ট্রের কিশোরী, তারপরেই সদ্যোজাতকে খুন
পশ্চিমবঙ্গের আকাশে ঘনাচ্ছে মেঘ, চলতি সপ্তাহে একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর