
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর বিধানসভার চৌখালী ২ নম্বর অঞ্চলের ১৪০ নম্বর বুথের আটাত্তর গ্রামে ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, বি.এল.ও প্রতিমা আচার্য্য ও পঞ্চায়েত সদস্য মানস দাস ভোটারদের কাছ থেকে SIR (Special Intensive Revision) ফর্মে কেবল স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন, কোনও তথ্য যাচাই বা নথিভুক্ত যাচাই করেননি! অর্থাৎ সরকারি ভাবে য কাজ একজন বি.এল.ও-এর করার কথা, সে কাজ এখানে বি.এল.ও প্রতিমা আচার্য্য পালন করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার ফলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
এই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা বিপ্লব মণ্ডল। তিনি গ্রামে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, এবং ঘটনার তাৎক্ষণিক তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন। কিন্তু এলাকায় এমন ঘটনা ঘটার ফলে ছড়িয়েছে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্ক। বহু ভোটার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। গ্রামে ছড়িয়েছে ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি, যা মুহূর্তে চাঞ্চল্যরূপ ধারণ করেছে।
এলাকার বিপ্লব মণ্ডলের অভিযোগ, “এটা নিছক গাফিলতি নয়, পরিকল্পিত কারচুপি। ভোটার তালিকা থেকে সাধারণ মানুষের নাম বাদ দিতে এভাবে প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে।" এলাকাবাসীদের সুরে একথা স্পষ্ট যে, ইলেকশন কমিশনের এই বিষয়ে আরও কড়া নজরদারি করা প্রয়োজন, বা এমন কাউকেই বি,এল,ও হিসেবে বেছে নেওয়া প্রয়োজন যারা এই রাজ্যের নন। এএদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে, আর প্রশাসন সূত্রে খবর — অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।