শিশু চুরির 'শাস্তি' মা-বাবাকে, দুই পরেও পেল না নিজের সন্তানকে। চাইল্ড লাইন থেকে দুই দিন পরেও খালি হাতে ফিরতে হল বাবা ও মাকে।
শিশু চুরির মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী এক নিগৃহীতা মা। দুই দিন কেটে গেছে। তারপরেও নিজের সন্তানকে ফিরে পেল না মা। সরকারি দফতরে ছুটে ছুটে বিভ্রান্ত হচ্ছেন মা। মনবল ভাঙছে বাবার। কারণ সর্বদাই খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাদের। মাকে ঘটনার দিন পরিবারের হাতে তুলে দিলেও কোলের সন্তানকে এখনও ফিরত দেয়নি প্রশাসন। দুই দিন সন্তান ছাড়া অবস্থায় থাকা মায়ের মন ক্রমশই ভাঙছে।
দু’দিন পরেও নিজের কোলের শিশুকে ফিরে পেলেন না বিরাটি স্টেশনে শিশুচুরি-গুজবে নিগৃহীতা মা! ঘটনার দিন, অর্থাৎ বুধবার রাতে ওই মহিলাকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিলেও ‘তদন্তের স্বার্থে’ শিশুটিকে চাইল্ড লাইনে পাঠিয়েছিল রেলপুলিশ (জিআরপি)। তার পর বৃহস্পতিবার কেটে গিয়েছে নানা টানাপড়েনে। শুক্রবার শিশুটিকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে চাইল্ড লাইনে গিয়েছিলেন মা-বাবা। কিন্তু ফের তাঁদের খালি হাতেই ফিরতে হল। টানা দুই দিন সন্তান ছাড়া কাটাতে হল মা আর বাবাকে। তাতেই তাঁদের মানসিক অশান্তি বাড়ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ! বেহাল থেকে মুছে ফেলা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের 'শেষ' স্মৃতি
প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় এখনও ছেলেকে ফিরে পাননি দম্পতি। বুধবার রাতে রামেশ্বর শুধু পুলিশকে সন্তান জন্মানোর পরে হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেখাতে পেরেছিলেন। এ প্রসঙ্গে রেলপুলিশের একটি সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী, শিশুটিকে শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে রাখা হয়েছে। সব নথি যাচাই হলেই তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যদিও শিয়ালদহহ রেলপুলিশ জানিয়েছে, তারা তাদের কাজ করছে। জিআরপি সূত্রের খবর পরিচয় যাচাইয়ের পরে বাসন্তীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে শিশুটি রয়েছে চাইল্ডলাইনে। কিন্তু সূত্রের খবর, সূত্রের খবর তদন্তের প্রয়োজনেই সন্তানকে ফেরত দেওয়া হয়নি। সবকিছু খতিয়ে দেখেই ফেরত দেওয়া হবে।
Viral Picture: জুন-মহুয়া-সায়নী - সংসদে বসে একী করছেন? যা দেখে হাসির রোল নেট পাড়ায়
গত বুধবার শিশু চুরির অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায় বিরাটি স্টেশনে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দত্তপুকুর থেকে শিয়ালদহগামী একটি ট্রেনে এক মহিলা যাত্রীকে দেখে সন্দেহ হয় অন্য যাত্রীদের। ওই মহিলা যাত্রীর কোলে এক শিশু ছিল। তা দেখে বাকি যাত্রীদের কোনও কারণে সন্দেহ হয়, শিশুটিকে হয়তো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন ওই মহিলা যাত্রী। এর পরেই তাঁরা ওই মহিলা যাত্রীকে আটক করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেন। তার তদন্তে নেমে রেলপুলিশ জানতে পেরেছে, নিগৃহীতা মহিলাই ওই শিশুটির মা। তাঁর পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই জিআরপিতে গিয়েছিলেন মহিলার স্বামী। রামেশ্বর পাণ্ডে নামে ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীর নাম বাসন্তী পাণ্ডে। বাসন্তীর আদি বাড়ি ওড়িশায়, রামেশ্বরের বিহারে। তাঁরা বামনগাছিতে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ওই শিশুটি তাঁদেরই সন্তান।