সংক্ষিপ্ত
ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে নবান্ন থেকেই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণে প্রশাসন বেহালা ম্যান্টনে ভেঙে দিল পার্থর কার্যালয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার বেহালা থেকে মুছে গেলও তাঁরই একসময়ের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শেষ স্মৃতিটুকু। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি, আর্থিক তছরুপ-সহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বর্তমানে তিনি জেলে বন্দি। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যা গত কয়েক দিনই ধরেই সরকারি জমি থেকে জবরদখল উচ্ছেদ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাই বেহালা ম্যান্টনে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিজস্ব কার্যালয়ও রেহাই পেল না। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পার্থর কার্যালয়।
ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে নবান্ন থেকেই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণে প্রশাসন বেহালা ম্যান্টনে ভেঙে দিল পার্থর কার্যালয়। এর আগে মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি বিধায়ক। পেহালা পশ্চিম বেহালার দীর্ঘদিনের বিধায়ক। বাম আমলে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের মাত্র দুই জন বিধায়ক ছিলেন তখন থেকেই পার্থ বেহালা পশ্চিমের বিধায়াক। বেহালা ম্যান্টনে তাঁর নিজেস্ব কার্যলয় ছিল। যেখানে বসে তিনি স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শুনতেন। তাঁর নিজস্ব বিধায়ক অফিসও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।
Ayodhya: রাম মন্দিরের ছাদ থেকে জলের পর এবার রাম পথে ধস, রামের শহরে ভয়ঙ্কর হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ
স্থানীয়দের কথায় ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকেই ফুটপাথ জুড়ে তৈরি হওয়া পার্থর কার্যালয় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। এখন তাদের বিধায়ক জেল বন্দি। তাই অভাব অভিযোগও শোনার কেউ নেই। কিন্তু দীর্ঘ দিনের বিধায়কের স্মৃতিটুকু ছিল ওই কার্যালয়। এবার সেটিও মুছে যাচ্ছে।
Viral Picture: জুন-মহুয়া-সায়নী - সংসদে বসে একী করছেন? যা দেখে হাসির রোল নেট পাড়ায়
যদিও পার্থর কার্যালয় ভাঙা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। বেহালার সিপিএম নেতার দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কার্যালয় ভাঙার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল এলাকার কয়েকজন হকারও। তাতেই চাপে পড়ে প্রশাসন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করার কথা বলায় প্রশাসন সেটি ভাঙলে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু সেন বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশাসন দল রঙ না দেখেই কাজ করে- তার আরও একটি প্রমাণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কার্যালয় ভেঙে দেওয়া।