
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে করে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের। তাঁর গাড়ি নওদা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বছর চারেকের বাচ্চা ছুটে চলে আসে গাড়িটির একেবারে সামনে। আচমকা সে গাড়ির সামনে এসে পড়ায় মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। গাড়ির সজোরে ধাক্কায় ছিটকে পড়ে বাচ্চাটি।
জানা গেছে, ওই দুর্ঘটনায় আহত শিশুটির নাম হাসিম সরকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, তার বাড়ি নওদা ব্লকেই। ঘটনার দিন তার মা নওদার পিঁপড়েখালি এলাকায় এসেছিলেন ব্যাংকের কাজ সারতে। কিন্তু, প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, মায়ের হাত ছেড়ে দিয়ে এদিক ওদিক দিশাহীনভাবে ছুটোছুটি করছিল ছোট্ট হাসিম। তখনই গাড়ি চলাচলের রাস্তায় এসে পড়ে সে। পিঁপড়েখালির রাস্তা দিয়ে সেসময় এগোচ্ছিল সাংসদ আবু তাহেরের গাড়ি। বাচ্চাটি ঠিক তাঁর গাড়ির সামনেই পড়ে যায় এবং প্রচণ্ড আঘাতে মাথায় গুরুতর চোট পায়।
সাংসদ আবু তাহের খান জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পরেই ৫০-৬০ মানুষ ওই এলাকায় জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তখনও পর্যন্ত শিশুটির মায়ের দেখা পাওয়া যায়নি। অনেকক্ষণ পরে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন।’ এরপর সাংসদ নিজের গাড়িতেই আহত শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। হাসপাতালে পৌঁছনোর পর কর্তব্যরত ডাক্তার এবং নার্সরাও তাড়াতাড়ি তাকে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু, আঘাতের জোর সহ্য করতে পারেনি খুদে শিশু। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই সে প্রাণ হারায় বলে খবর। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির মাথায় গভীর চোট লেগেছিল। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হলেও, শেষমেশ হার মানতে হয় ডাক্তারদের।
শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবার। গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাংসদ আবু তাহের। হাসিমের কাকা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে ছুটছিল সাংসদের গাড়ি। ফলে চালক চেষ্টা করেও গাড়ি তাড়াতাড়ি থামাতে পারেননি। সাংসদ আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি মৃত শিশুর পরিবারের পাশে থাকবেন। তাঁর গাড়িটিকে ইতিমধ্যেই সিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার। আটক করা হয়েছে ঘাতক গাড়ির চালক আলমগীর মণ্ডলকেও।
আরও পড়ুন-
একই দিনে ভূমিকম্পে কাঁপল অরুণাচল ও হিমাচল প্রদেশ! দিল্লি, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্রের পর ফের আশঙ্কায় ভারতের অন্যান্য রাজ্য
কুড়ির নিচেই জমে রইল সব জেলার তাপমাত্রা, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি
যাচাই না করেই ভ্রান্ত খবরে ছেয়ে গেল ফেসবুক, ‘ঐন্দ্রিলাকে আরেকটু থাকতে দাও’, কাতর আবেদন সব্যসাচীর