নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআইকে অস্বস্তিতে ফেলে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট ঢেলে সাজালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি নতুন ফিরিয়ে আনছেন অখিলেশ সিংকে
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি পড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই-এর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট থেকে দুই আধিকারিকসে সরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত শুরুর সময় দায়িত্ব থাকা ডিআইজি অখিলেশ সংকে নতুন করে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনাতে হবে। আর এর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে সিবিআই কর্মকর্তাদের। তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চারজন নতুন আধিকারিকদের তদন্তকারী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে। সিট-এর প্রধান হিসেবে একজন ডিআইজি পদপর্যাদার আধিকারিক অর্থাৎ অখিলেশ সংকে নিয়োগ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের নিযুক্ত এই নতুন সিট বা তদন্তকারী দল সরকার পরিচালিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে তদন্ত করবে।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই বলেছে, এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অত্যাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি বা পরিচিত ব্যক্তিদের নাম। আর সেই কারণে খুব ধীর গতিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচাপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তের জন্য পাঁচ মাস আগে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৫৪২ জনের মধ্যে বেআইনি নিয়োগের তালিকায় মাত্র ১৬ জনের নাম উঠে এসেছে। পাশাপাশি গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রশ্নই শুরু হয়নি। তিনি আরও বলেছেন , এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ার কারণ হতে পারে সিবিআি-তে আফিসারের সংখ্যা অনেক কম।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন,
আদালত যখন এক বছর আগে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অখিলেশ সিং-কে। তাঁকে বর্তমানে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নতুন তদন্তকারী দলের মাথা হিসেবে আবারও অখিলেশ সিংকে ফিরিয়ে আনা হবে।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অখিলেশ সিং-কে বর্তমানে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে অখিলেশ সিং যাতে পুরো সময় আর মন দিতে পারেন তার ব্যবস্থা সিবিআইকে করতে হবে। তিনি আরও বলেছেন তদন্ত শেষ না হওয়ার পর্যন্ত ডিআইজি সংকে তাঁর অনুমতি ছাড়া অপসারণ করা যাবে না। আবারও সম্পর্ক অন্য পথে হেঁটে চাকরি প্রার্থীদের পাশেই দাঁড়ালেন বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ
শ্রদ্ধা খুনে তদন্তে ১০টি তথ্যপ্রমাণ, একই সঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তর উত্তর খুঁজছে দিল্লি পুলিশ
চপ ভাজলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়গ্রাম সফরে একদম অন্যরূপে মুখ্যমন্ত্রী