ছাব্বিশের ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ, কাউন্সিলর বনাম চেয়ারম্যান তরজা তুঙ্গে

Published : Nov 24, 2025, 07:58 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

TMC News: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ। তৃণমূল কাউন্সিলর-চেয়ারম্যান দ্বন্ধে উত্তপ্ত তমলুক পুরসভা। তারপর কী হলো? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

TMC News: একটা চেয়ারম্যান পদ। আর তা ঘিরেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক পুরসভায় কার্যত নাটকীয় চিত্র। অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে তমলুক পৌরসভায় ঘোষণা করা হয়েছিল চঞ্চল খাঁড়ার নাম। নাম ঘোষণার পরেই আইপ্যাককে গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিয়েছিলেন তমলুক পৌরসভার কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি।

ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে?

এবার নিদান দিয়েই সাসপেন্ড তমলুকের তৃণমূল কাউন্সিলর! নতুন পুরপ্রধান চঞ্চল খাঁড়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিদ্রোহ ঘোষণার পরেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হলো পার্থসারথী মাইতিকে। প্রদেশ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। দলীয়ভাবে যদি তার সাথে কেউ যোগাযোগ রাখেন তাকেও সাসপেন্ড করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

পূর্বেও তিনি বিভিন্নভাবে মুখ খুলে ছিলেন দলের বিরুদ্ধে। কান ধরে উঠবস করা থেকে শুরু করে, তমলুকের নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সমাজে মাধ্যমে।সাসপেন্ড এর পরেই বিস্ফোরক পার্থসারথি মাইতি।

পার্থ মাইতি বলেন যদি আমার মৃত্যু হয়, তার জন্য দায়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এস পি।শুভেন্দু অধিকারী ২০২০ সালে নানা জায়গায় গন্ডগোল করেছিল তখন আমায় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।একবার একমাস আগে যখন সুজিত রায় আমাকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন, এসপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। নিরাপত্তা বাড়াননি। তার পরবর্তী সময়ে আবার আমি জানিয়েছিলাম নতুন জেলাশাসককে।

তাও কোনও উত্তর পাইনি। বারবার খুনের হুমকি দেওয়া হয়। যদি আমার মৃত্যু হয়, তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আর পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি।সাসপেন্ড নিয়ে যদিও ছেলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতি।তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন চিত্তরঞ্জন মাইতি। 

চিত্তরঞ্জন মাইতি বলেন "১ টা দলের ১০০ জনের ৯০ জন চোর,বাকি ১০ জন যদি প্রতিবাদ করতে যায় বাকিরা তো তাদের বিষ খাইয়ে মেরে দেবে।কেনো প্রতিবাদ করতে গেছে?আমরা পারতাম না প্রতিবাদ করতে?আগের ভোটেই জানিয়েছিলাম দলের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক আছে,দল পাত্তা দেয়নি"। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই পদ গেলো পার্থসারথি মাইতির কটাক্ষ বিজেপির।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Suvendu Adhikari: ‘ভিতরের খবর দিয়ে গেলাম!’ তৃণমূলের আসল খেল আজ ফাঁস করলেন শুভেন্দু
'মোদীকে পাকিস্তানে পাঠাও', বেফাঁস মন্তব্যে ফের বিতর্কে তৃণমূলের উদয়ন গুহ