প্রার্থী না হয়েও ভোট ময়দানে নিশীথের প্রতিপক্ষ উদয়ন, কোচবিহারে জোর টক্কর তৃণমূল-বিজেপির

কোচবিহারে তৃণমূল আর বিজেপির ক্ষমতা দখলের লড়াই তুঙ্গে। আগামী ১৯ এপ্রিল ভোট গ্রহণ। কিন্তু তার আগে থেকেই এলাকা দখলের মরিয়া লড়াই চলছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।

একটা সময় কোচবিহার ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি। দীর্ঘদিনই এই কেন্দ্র ছিল ফরোয়ার্ড ব্লকের দখলে। ২০১৪ সালে তৃণমূল ক্ষমতা দখল করে। তারপরের বছরই বিজেপির টিকিটে নিশীথ প্রামাণিক এই কেন্দ্রের দখল নেয়।

একটা সময় নিশীথ প্রামাণিক তৃণমূলে ছিলেন। সেই সময় থেকেই দলীয় সতীর্থ উদয়ন গুহর সঙ্গে এলাকা দখলের লড়াই চলত। দল বদলের পরেই নিশীথ-উদয়নের দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। মাঝে মাঝেই জেলার রাজনীতি উত্তপ্ত হয় নিশীথ আর উদয়নের এলাকায় দখলের লড়াইয়ে।

বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অমিত শাহের মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তাঁর জয়ে নিয়ে রীতিমত আশাবাদী বিজেপি। রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দু ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত নিশীথ।

নিশীথ প্রমাণিকের প্রতিপক্ষ জগদীশ চন্দ্র বর্মন বাসুনিয়া। তবে এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।

নিশীথের তুলনায় ধারেভারে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে জগদীশ চন্দ্র বর্মন বসুনিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেড থেকেই তাঁর নাম ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামান দিয়ে জয় হাসিল করা কিছুটা হলেও কঠিন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জগদীশ চন্দ্র বর্মন বসুনিয়া সিতই থেকে জয় লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে। এবার তাঁকে তুরুপের তাস বানিয়েছেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বসুনিয়ার হাত ধরেই হারানো কেন্দ্রের দখল নিতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। সেখানেও মমতার হাতিয়ার উদয়ন গুহ।

তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে কোচবিহার আবার দখল করা খুব একটা সহজ কথা নয়। কারণে বিজেপিও কোচবিহারের দখল নিজেদের হাতে রাখতে মরিয়া।

কোচবিহার দখলের লড়াইয়ে রয়েছে বাম ও কংগ্রেসও। কোচবিহারে জোট হয়নি। এই কেন্দ্রে বামেদের পাল্টা প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি।

এই কেন্দ্র দীর্ঘ দিন ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বামেদের দখলে ছিল। ফরোয়ার্ডব্লকই সাংসদ পাঠাত দিল্লিতে। কিন্তু বর্তমানে এই কন্দ্রে বামেদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। এবার প্রার্থী নিতিশ চন্দ্র রায়।

এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়া রায়চৌধুরী। আগের নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। ভোট পেয়েছিলেন ১.৮৫ শতাংশ।