বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছর। সেখানেই শূন্য দশা কাটাতে এবার মরিয়ে সিপিআই(এম)। যেনতেন প্রকারে বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীদের পৌঁছে দিতে সবরকম কৌশল নিচ্ছে সিপিএম।
210
সিপিএম-এর ভরসা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে
সিপিএম এবার শূন্যদশা কাটাতে ভরসা রাখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ওপর। যদিও প্রথম থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ আর সমালোচনার ঝড় তুলেছিল বামেরা।
310
প্রচরের সিদ্ধান্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মত বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। যদিও তাদের কথা এগুলি কোনও একটি রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির নয়, এগুলি সরকারি প্রকল্প। বামেরা ক্ষমতায় থাকার সময়ও এমন প্রকল্প চালু করেছিল।
410
তৈরি হয়েছে পুস্তিকা
প্রকল্পগুলির নাম ধরে ধরে তৈরি করা হয়েছে একটি পুস্তিকাও। এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম। ইতিমধ্যেই জেলার তরফে একটি কর্মশালাও করা হয়েছে।
510
সিপিএম-এর ভুল
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পগুলিকে আক্রমণ করে বিশেষত গ্রামে ক্রমশই গণভিত্তি দুর্বল হচ্ছিল সিপিএমের। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই নিয়ে সিপিএমের দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি দলের একাধিক সম্মেলনে এই নিয়ে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে সিপিএম নেতারা। তাই শুরু হয়েছে সংশোধনের পালা।
610
জনমুখী প্রকল্পের প্রচার
সিপিএম সূত্রের খবর ভোটের জন্য তারা এজাতীয় জনমুখী প্রকল্পের প্রচার করবে। এজাতীয় প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের মানুষের কাছেও যাবে। পাশাপাশি এজাতীয় প্রকল্প নিয়ে প্রতিশ্রুতিও দেবে।
710
কর্মশালায় রণকৌশল
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রভৃতি প্রকল্প নিয়ে চর্চা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের একটি করে পুস্তিকা দেওয়া হয়েছে। এই পুস্তিকায় প্রকল্প ধরে ধরে প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো রয়েছে।
810
সিপিএম-এর উদ্যোগ
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্ষেত্রে যেমন জানানো রয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত প্রকল্পের নাম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যে পুস্তিকা সিপিএমের তরফ থেকে ছাপানো হয়েছে তাতে রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্প কিভাবে আবেদন করলে এবং কোথায় আবেদন করলে পাওয়া যাবে তার ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
910
সিপিএম-এর কথা
সিপিএম-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকারি প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের নেতারা তেমন প্রচার করেন না। কী করে আবেদন করতে হবে - কোথায় আবেদন করতে হবে- এজাতীয় বিষয়ে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। আর সেই কারণেই বামেরা উদ্যোগ নিচ্ছেন।
1010
রাজনীতি
সিপিএম-এর এই উদ্যোগকে রীতিমত কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তারা সিপিএমকে মুদ্রার এপিঠ র ওপিঠ বলে বর্ণনা করেছে। আর তৃণমূল বলেছে এতদিনে বামেদের বোধদয় হয়েছে।