দু'মাস ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না গঙ্গারানী দাস(৭৫) ও তাঁর নাতি মানস রঞ্জন দাস(২৫) ওরফে বিট্টুর। দু'মাস কেটে গেলেও দু'জনের দেখা না মেলায় স্বাভাবিকভাবেই খটকা লাগে প্রতিবেশীদের।
বাড়ির সেপ্টিট্যাঙ্ক খুলতেই উদ্ধার হল নাতি ও ঠাকুমার দেহ। এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটল সোনারপুর থানা এলাকার জগদ্দলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে গত দু'মাস ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না গঙ্গারানী দাস(৭৫) ও তাঁর নাতি মানস রঞ্জন দাস(২৫) ওরফে বিট্টুর। দু'মাস কেটে গেলেও দু'জনের দেখা না মেলায় স্বাভাবিকভাবেই খটকা লাগে প্রতিবেশীদের। অবশেষে শনিবার বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধা গঙ্গারানী ও তাঁর নাতি বিট্টুর দেহ। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পড়েছে এলাকায়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বৃদ্ধার নাতনি প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর স্বামী শান্তনুকে। পুলিশের সন্দেহ প্রিয়াঙ্কা ও শান্তনু মিলেই খুন করেছন নিহত বৃদ্ধ ও তাঁর নাতিকে। ঠিক কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সোনারপুর থানা এলাকার জগদ্দল এলাকায় থাকতেন প্রৌঢ়া গঙ্গারানী দাস। তাঁর কাছে থাকত বিশেষভাবে সক্ষম নাতি বিট্টু। এছাড়া থাকতেন তাঁর আরও এক নাতনি প্রিয়াঙ্কা এবং তাঁর স্বামী শান্তনু। দিদিমার সঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। এবার বৃদ্ধার খুনের ঘটনা সামনে আসতে অভিযোগের তির যাচ্ছে এই প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী শান্তনুর দিকে। অভিযোগ উঠছে দিদিমা এবং মামাতো ভাই বিট্টুকে খুন করে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী। সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখ সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে গঙ্গারানী দাসের ছেলে ও বৌমা কয়েক বছর আগেই মারা যায়। তারপর থেকে বিশেষভাবে সক্ষম নাতিকে নিয়ে থাকতেন বৃদ্ধা। মাস দুয়েক আগে আচমকাই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। গত শনিবার মায়ের খোঁজ নিতে জগদ্দলে আসেন তাঁর মেয়ে। মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হওয়ায় স্বামীকে নিয়ে জগদ্দলে দিদিমার সঙ্গে থাকতেন প্রিয়াঙ্কা। অন্যদিকে বৃদ্ধাকে বাড়িতে না দেখতে পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন প্রিয়াঙ্কার মা। প্রথম থেকেই মেয়ের উপর সন্দেহ ছিল তাঁর মায়ের। বাড়ির সেপ্টি্ক ট্যাঙ্কে নতুন ঢালাই দেখে আরও খটকা লাগে তাঁর। অবশেষে প্রতিবেশীদের নিয়ে জোর করে সেপ্টিট্যাঙ্কের সিল খুলে ঢাকনা সরাতেই দেখা যায় বিভৎস দৃশ্য। সেপ্টিক ট্যাঙ্গে পরে রয়েছে মানুষের হাড়গোড়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ এসে সেই কঙ্কাল উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই কঙ্কালগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি দিদিমা গঙ্গারানীর সম্পত্তির দিকেই লোভ ছিল নাতনি প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর স্বামী শান্তনুর। সেই লোভেই খুন করা হয় তাঁদের। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।