স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন নৈহাটি ফেরিঘাট থেকে মিছিল শুরু হয়। রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে শান্তিপূর্ণ সেই মিছিলে ঢুকে ঝামেলা শুরু করেন কয়েকজন। প্রতিবাদ জানাতে গেলে মারধরও করা হয়।
গত বুধবার রাতে কোচবিহারের মাথাভাঙায় 'রাত দখল' কর্মসূচিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকি, রাস্তার উপরে শিল্পীদের আঁকা ছবিও মুছে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ছিঁড়ে দেওয়া হল আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদী মহিলাদের জামা!শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন নৈহাটি ফেরিঘাট থেকে মিছিল শুরু হয়। রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে শান্তিপূর্ণ সেই মিছিলে ঢুকে ঝামেলা শুরু করেন কয়েকজন। প্রতিবাদ জানাতে গেলে মারধরও করা হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া জখম হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়।
প্রতিবাদীদের অভিযোগ, অশান্তির সময় পুলিশকে দেখা যায়নি। পরে ২-৩ জন পুলিশ কর্মী আসেন। তাঁদেরকে ঘিরে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদীদের একাংশ। পরে এ ব্যাপারে একটি টুইট করেন সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় জোর উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতির জন্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করছেন প্রতিবাদীরা।
এদিন নৈহাটির মিছিলেও হামলার ঘটনাতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগকে ঘিরে নতুন করে শোরগোল তৈরি হয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, এই মুহুর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মিছিলকে ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ কর্মী।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হলে ধর্ষণ-খুনের শিকার হয় ডাক্তারি ছাত্রী। তার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট রাত দখলের কর্মসূচিতে নেমেছিলেন মহিলারা। সেদিন আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনকারীদের মঞ্চে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ওই ক্ষেত্রেও হামলার সময় পুলিশ লুকিয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।