কুণাল ঘোষ বলেন, 'জহরবাবু একজন সিনিয়ার বিদগ্ধ মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে আমরা তাঁর বিরোধিতা করব না। তাছাড়া আমার মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি যে শ্রদ্ধার জায়গা, সেটা তিনি ছিন্ন করছেন না।'
আরজি কর কাণ্ড ও দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রসেরে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন জহর সরকার। রাজনীতির সঙ্গেও সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে ইস্তফা দিয়ে আসবেন। কিন্তু জহর সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরই রাজ্য জুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে জহর সরকারের পদত্যাগ নিয়ে কী বলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ? কারণ জহর সরকারের মত তিনিও অনেক ক্ষেত্রে দলের সঙ্গে একমত নয়। তবে তিনি একথা জানান পাশাপাশি একাধিকবার জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অনুগত সৈনিক।
কুণাল ঘোষ বলেন, 'জহরবাবু একজন সিনিয়ার বিদগ্ধ মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে আমরা তাঁর বিরোধিতা করব না। তাছাড়া আমার মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি যে শ্রদ্ধার জায়গা, সেটা তিনি ছিন্ন করছেন না।' কুণাল আরও বলেন, 'জহরবাবু যে উদ্বেগের কথা বলেছেন, সেই উদ্বেগের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক সৈনিক একমত। দলের কাছে দৃশ্যমান, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে। সেটা দলের অন্দরে থেকেও।' তবে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন, জহর সরকার কখনই সেভাবে রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।
অন্যদিকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় তীব্র সমালোচনা করেছেন। যদিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বার্তা মুছে দিয়েছেন। কিন্তু বেসুরো হলেও এখনও পর্যন্ত তিনি সাংসদ পদ ছাড়ার কথা বলেননি। যদিও জহর সরকারের পদত্যাগের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন আইটি সেলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, একজন চলে গেছেন অন্যজনও যেতে পারেন। যদিও তিনি আরজি করের প্রতিবাদকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবেই দেখছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।