Bengal BJP In Crisis: সভাপতি নির্বাচনের আগেই রাজ্য বিজেপিতে (BJP) বড় সংকট দলবদলের। একের পর এক বিধায়ক (MLA) দল ছাড়ছেন। ধীরে ধীরে কমছে রাজ্যের একমাত্র সরকারি বিরোধী দলের (Opposition ) বিধায়ক সংখ্যা।
সভাপতি নির্বাচনের আগেই রাজ্য বিজেপিতে বড় সংকট দলবদলের। একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়ছেন। ধীরে ধীরে কমছে রাজ্যের একমাত্র সরকারি বিরোধী দলের বিধায়ক সংখ্যা।
211
৭৭ বিধায়ক নিয়ে শুরু
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির ৭৭ জন বিধায়ক ছিল। কিন্তু সেই তালিকায় ছিল ২ সাংসদও। তারা পরবর্তীকালে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাই বিজেপি দৌড় শুরু করেছিল ৭৫ বিধায়ক নিয়ে।
311
শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা
রাজ্যের একমাত্র সরকারি বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপির ৭৫ জনের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও তিনি যথেষ্ট দাপটের সঙ্গেই বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন।
তবে সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যায়। একের পর এক বিধায়ক দল ছেড়েছেন। যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। একজন প্রয়াত। আর অন্য একজন লোকসভা নির্বাচনে দিয়ে পার্লামেন্টে চলে গেছেন।
511
এখন সংখ্যা
বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৬৫তে। কিন্তু আগামী বছর পর্যন্ত যে ৬৫ জন বিধায়কই বিজেপি শিবিরে থাকবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই- তেমনই গুঞ্জন রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে।
611
চাপ বাড়ছে শুভেন্দু - সুকান্তের ওপর
এই অবস্থায় কিছুটা হলেও চাপ বাড়ছে রাজ্য বিজেপির দুই নেতা শুভেন্দু অধিকারী আর সুকান্ত মজুমদারের ওপর। কারণ সুকান্তু মজুমদার রাজ্য বিজেপির সভাপতি। আর শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা। দুই নেতাই বিজেপির এই ভাঙন রোধে ব্যর্থ।
711
অনিশ্চিত ৮
হলদিয়া, অর্থাৎ শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির এই ভাঙন অস্বস্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই বাকিদের খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর এখনও ৮ বিধায়ককে নিয়ে রীতিমত শঙ্কায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। তারাও দলবদল করতে পারে বলে সূত্রের খবর।
811
৮-এর কাঁটা
বিজেপির অন্দরে আঁটের কাঁটা রয়েছে। তাই ২০২৬ -এ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা বেশ কিছুটা চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বের।
911
নতুন সভাপতি নির্বাচন
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের কথা রয়েছে চলতি বছর। তারও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু কে হবেন রাজ্য সভাপতি- তাই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।
1011
চাপে নতুন সভাপতিও
বিজেপি সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছর। তার আগেই বিজেপিতে এই ধস। তাই নতুন রাজ্য সভাপতিও যে চাপে থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
1111
তাপসীর দলবদল
সোমবারও নির্ধারিত সময়ই বিধানসভায় এসেছিলেন তাপসী মণ্ডল। কথা বলেছিলেন দলীয় সতীর্থদের সঙ্গে। মধ্যাহ্নভোজনও করেছিলেন বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে। তারপরই নিঃশব্দে বিধানসভা ছাড়েন। চলে যান তৃণমূল ভবনে। তাপসীর এই নিঃশব্দ দলবদলও চাপ বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরে।