বেলা তিনটে পর্যন্ত নির্বাচনী ফলাফলের যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা যাচ্ছে মোট ৬৩,২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ১৭,৭৮৪টি আসন, বিজেপি ২,০৮২টি আসন, সিপিএম ৮৭৭টি, কংগ্রেস ৫৩৮ টি আসন পাচ্ছে।
জেলায় জেলায় সবুজ আবির উড়ছে। পঞ্চায়েত ভোটগণনার দিন দুপুর ৩টের ট্রেন্ড বলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল এগোচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের দিকেই। বিভিন্ন জেলা থেকে হিংসার খবর মিলেছে। তবে সেসব পেরিয়েই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকার লড়াইয়ে রয়েছে বিজেপি।
বেলা তিনটে পর্যন্ত নির্বাচনী ফলাফলের যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা যাচ্ছে মোট ৬৩,২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ১৭,৭৮৪টি আসন, বিজেপি ২,০৮২টি আসন, সিপিএম ৮৭৭টি, কংগ্রেস ৫৩৮ টি আসন পাচ্ছে। অন্যান্যদের ঝুলিতে গিয়েছে ৫২৯টি আসন।
পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ৯৭৩০টি। তৃণমূল এর মধ্যে জয় পেয়েছে ৯৮১টি আসনে। অন্যান্যরা পেয়েছে ১০টি আসন। বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেস এখানে এখনও খাতা খুলতে পারেনি।
জেলাপরিষদের মোট আসন ৯২৮টি। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ১৬টি আসন, বাকিরা এখনও কোনও খাতা খুলতে পারেনি। সব মিলিয়ে, গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ১৬,৩৬৩টিতে এগিয়ে তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। পদ্মশিবির এগিয়ে ১,৬৮৪টিতে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। তারা এগিয়ে ১২৫৯ আসনে। পঞ্চায়েতে মোট আসন ৬৩ হাজার ২২৯। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতেছে ৭,৯৪৪টি আসনে। দু’টি আসনে জয়ী বিজেপি। তিনটি আসনে জয়ী সিপিএম। অন্য প্রার্থীরা জয়ী ৫৩টি আসনে।
মোট ভোটগণনা কেন্দ্র ৩৩৯। স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। ৩০,৩৯৬টি টেবিলে চলছে গণনা। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ঘোষণা করবেন বিডিও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে ২ রাউন্ড করে গণনা হবে। কোথাও কোথাও গণনা হবে তিন রাউন্ড। শেষ না হওয়া পর্যন্ত গণনা চলবে। এদিন গণনা শেষ না হলে পরের দিনও তা চলবে।
সকাল ৮টা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গণনার কাজ হবে বলেই ধারণা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। গণনা শেষ হলে কেন্দ্র থেকে সবাই বেরিয়ে গেলে তারপরেই শুরু হবে পঞ্চায়েত সমিতির গণনার কাজ। তারপর একভাবেই জেলা পরিষদের গণনার কাজ শুরু হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, গণনা পুরো শেষ হতে ১২ জুলাই পেরিয়ে যেতে পারে।
এদিকে, গণনার দিন কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন গণনাকেন্দ্রে। দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, তবুও সকাল থেকেই অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে। মালদা থেকে বীরভূম, হাওড়া থেকে উত্তর ২৪ পরগনা- নানা জেলায় অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। ভোটের দিনও রাজ্য রক্ত প্রাণহানির হোলিখেলা দেখে।