মধ্যরাতেই ল্যান্ডফলের আশঙ্কা! ঠিক কতটা গতিতে আছড়ে পড়বে এই অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা?

কতটা প্রভাব ফেলবে? আতঙ্কে অপেক্ষা করছে নগরবাসী। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি ১৫ কিলোমিটার বেগে শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

গত ৬ ঘণ্টায় 'দানা' উপকূলের দিকে আরও ৯০ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। বর্তমানে পারাদ্বীপ থেকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র দূরত্ব ৩৩০ কিলোমিটার।

ধামারা থেকে 'দানা'র দূরত্ব ৩৬০ কিমি। অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা' সাগর দ্বীপ থেকে ৪২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

পূর্বাভাস অনুসারে, এটি আজ মধ্যরাত থেকে আগামীকাল সকালের মধ্যে ওড়িশায় ল্যান্ডফল করবে।

অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় 'দানা' ভিতরকণিকা থেকে অগ্রসর হতে পারে। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার হতে পারে।

তবে দানার ভয়ে কাঁপছে কলকাতার মানুষও। কতটা ভয়াবহ হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়? কলকাতার কপালে এখন কী? নানা দুশ্চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে নগরবাসীর মনে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কারণে পরিস্থিতি উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।

খালি করা হয়েছে দীঘা, মন্দারমণি সহ পর্যটন স্থানগুলি। বিভিন্ন এলাকায় মাইকের মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিচ্ছে পুলিশ। NDRF টিম মোতায়েন করা হয়েছে।

বিপর্যয় মোকাবিলায় রেলও প্রস্তুত। বিপর্যয় এড়াতে, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ১৯০ টি লোকাল ট্রেন ১৪ ঘন্টার জন্য বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বহু দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। ট্রেনের পাশে দানা পড়ার ভয়ে ফ্লাইট সার্ভিসও বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার ১৫ ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মেট্রো আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঝড়ের কারণে অনেক ট্রেন বাতিল করা হলেও কলকাতা মেট্রো পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়বে না।