বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা। এই পরিস্থিতিতে আদৌ শুনানি হবে কি না সে বিষয়ও ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ২৪ এপ্রিল ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা সর্বোচ্চ আদালতে। তবে এবার এই দিনে শুনানি হবে কি না তাই নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। এর আগে গত ১১ এপ্রিলও সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে সময় জনিত কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হয় ২৪ এপ্রিল। তবে ২৪ তারিখেও এই মামলার শুনানি হবে কি না সেই নিয়েও ধোঁয়াশা কাটছে না। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা। এই পরিস্থিতিতে আদৌ শুনানি হবে কি না সে বিষয়ও ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
বারবার শুনানি পিছনোর কারণে হতাশার সুর শোনা গেল আন্দোলনকারীদের গলায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। তবে আইনি মামলা চলবে বলেই জানিয়েছে কর্মীরা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ডিএ-এর দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের এই পদক্ষেপকে মোটেও ভালো ভাবে দেখছে না রাজ্য। ধর্নায় যোগ দিতে যাওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। তবে সরকারের হুঁশিয়ারির সামনেও আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীরা। রাজধানীতে দু'দিকের কর্মসূচি পালনের জন্য রবিবারই কলকাতা থেকে রওনা হয়েছিলেন শতাধিক কর্মী। সোমবার প্রায় ৫০০ আন্দোলনকারী জমা হয়েছেন দিল্লির যন্তর-মন্তরে। উল্লেখ্য এর আগেও নবান্নের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ধর্মঘট করেছেন সরকারি কর্মীরা। এবারেও সেই একই ছবি দেখা গেল। বরং রাজ্য সরকারের প্রতি তাঁদের পালটা বার্তা,'সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সৎ মনোভাব দেখান।' রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারির প্রভাব কোনওভাবেই আন্দোলনে পড়বে না বলে সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়, সরকারের চোখ রাঙানিকে ভয় পায় না কর্মী সমাজ ও শিক্ষক সমাজ। আন্দোলনে অনড় থাকার কথাই জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য,'সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সরকার সৎ মনোভাব দেখাক, রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সেটাই সঠিক পদক্ষেপ হবে।' তাঁরা আরও জানান,'ওঁরা যত ভয় দেখাবে যত চোখ রাঙাবে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক ততই খারাপ হবে, ফলে রাজ্যটা রসাতলে যাবে।'
আরও পড়ুন -
মুকুল রায় কি মানসিকভাবে সুস্থ নন? অভিযোগ পেলেই খোয়া যেতে পারে বিধায়ক পদ, জানালেন স্পিকার
ইদের সকাল বিষিয়ে তুলেছেন, রেড রোডে মমতার ভাষণ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
শনিবার ফের উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ, পুলিশ বনাম গ্রামবাসীর বচসায় কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় এলাকা