নিয়ম অনুযায়ী মানসিকভাবে সুস্থ না হলে কোনও ব্যক্তি বিধায়ক থাকতে পারেন না। মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও বিধায়ক পদ খোয়ানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
মুকুল রায়ের দিল্লিযাত্রার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা। শুরুর থেকেই মুকুল-পুত্রের বক্তব্য তাঁর বাবা মানসিকভাবে সুস্থ নন। অন্যদিকে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের দাবি তাঁকে তাঁর পরিবারই মানসিক ভারসাম্যহীন বানিয়ে রেখেছে। এবার প্রশ্ন মুকুল রায় কি আদৌ মানসিকভাবে সুস্থ? একটি বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রশ্নই তুলেছেন। নিয়ম অনুযায়ী মানসিকভাবে সুস্থ না হলে কোনও ব্যক্তি বিধায়ক থাকতে পারেন না। মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও বিধায়ক পদ খোয়ানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এই বিষয় অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিপিএমের আইনজীবী সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও মুকুল আদৌ কতটা 'সুস্থ' সেবিষয় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার মুকুলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। তাঁর কথায়,'পুলিশের মাধ্যমে বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে এখনও অবধি দু'বার কথা হয়েছে। আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন আমাকে জানিয়ে দিল্লি আসার কথা। এটা কি ঠিক? বাবা জানিয়েছেন যে তিনি আমাকে বা পরিবারের কাউকে জানিয়ে দিল্লি আসেননি। আমি জানতে চেয়েছি তুমি যেটা করছ, সেটা সজ্ঞানে করছ তো? জবাবে বাবা বলেন হ্যাঁ।' পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। শুভ্রাংশু বলেন,'বাবা দিল্লি গিয়ে সিপিএমকে বাংলা থেকে সরানোর কথা বলেছেন। দিল্লিত সাংসদ-বিধায়ক হিসেবে দিল্লি এসেছেন বলে জানিয়েছেন। আমি আপনাদের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়েছি। আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। বাবা কবে ফিরবেন জানাননি। আমি জানতেও চাইনি।'
বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা পরিষ্কার জানান,'উনি তো বিজেপির বিধায়ক। ওঁর ছেলে শুনেছি মিসিং ডায়েরি করেছে। প্রশাসনের কাজ তিনি কোথায় আছেন, তিনি ভাল আছেন কি না তার খোঁজ নেওয়া।' পাশাপাশি মমতাকে প্রশ্ন করা হয় গোটা ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি বা কোনও এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'ওঁর ছেলেই তো বলেছেন, বাবা মিসিং। দু'জন কোনও এজেন্সির মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি কি না আমি বলতে পারব না। হতে পারে তাঁকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।' এখানেই শেষ নয় মুকুলের দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,' এটা ছোট ব্যাপার। আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে মিসিং অভিযোগটা গুরুত্বপূর্ণ।'