DA News: বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দিতে এবার বড় উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। আগেই প্রত্যেক দফতরের কাছ থেকে কর্মীদের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। এবার আরও বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দিতে এবার বড় উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। আগেই প্রত্যেক দফতরের কাছ থেকে কর্মীদের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। এবার আরও বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
212
ডিএ রায়
গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ২৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। আর চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।
312
ধাপে ধাপে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার
এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
বকেয়া ডিএ দিতে রাজ্য সরকার নতুন পদ্ধতি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই প্রযুক্তি সমস্ত দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
512
প্রথম ধাপ
প্রযুক্তি সমস্ত দফতরের কর্মীদের পাঠিয়ে ডিএ পাওয়ার সময়সীমা জানতে চাইবে রাজ্য। ইতিমধ্যেই বেসরকারি সংস্থাকে সেই প্রযুক্তিগত পদ্ধতি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
612
দ্বিতীয় ধাপ
সরকারি কর্মচারীদের নিজস্ব পোর্টাল ইন্টিগ্রেটেড ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এ (আইএফএমএস) গিয়ে ২০০৯ সালে ‘রোপা’ কার্যকর হওয়ার পরে কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে। এই প্রযুক্তি সব দফতর, সরকার অনুমোদিত ও সরকার পোষিত স্বশাসিত সংস্থা , স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হবে।
712
তৃতীয় ধাপ
সরকারি কর্মীরা ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিজের নিজের কার্যকালের মেয়াদ জানাবেন।
812
অবসরপ্রাপ্তদের জন্য
একই ভাবে নিজেদের কাজের সময়কাল জানাতে পারবেন অবসরপ্রাপ্তরাও।
912
চতুর্থ ধাপ
এই তথ্য হাতে পাওয়ার পরই অর্থ দফতর সহজেই বুঝতে পারবে কোন কোনও সরকারি কর্মী বকেয়া ২৫ শতাংশ ডিএ পাবেন। কাজে সুবিধে হবে।
1012
অর্থ দফতর
অর্থ দফতরের এক কর্মীর কথায় এই পদ্ধতিতে যেমন রাজ্য সরকার কত কর্মীকে ডিএ দিতে হবে তা জানতে পারবে তেমনই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিতেও সুবিধে হবে।
1112
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ়
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ় জনিয়েছে রাজ্য সরকার কতটা ডিএ কীভাবে মেটায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
1212
নবান্ন সূত্র
নবান্ন সূত্রের খবর সুপ্রিম কোর্টের ডিএ দেওয়া আর তার রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া এই দুটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতেই প্রযুক্তিগত পদ্ধতির ব্যবহার করা হচ্ছে।