দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য সরকারকে চড়া সুরে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের স্বার্থ রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
দত্তপুকুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত আহত ১৫ জন। যারমধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা গেছে ৭ জন। অনেকেই বলছে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। দত্তপুকুরের ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যে পরপর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করে। তিনি বলেন রাজ্য পরিচালনায় জন্য কোনও রকম চিন্তাভাবনা নেই সরকারের। সবটাই মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য করা হয়।
এদিন শুভেন্দু বলেন, পুরো রাজ্যটাই অবৈধভাবে চলছে। রাজ্য সরকার অবৈধ বাজি কারখানা বন্ধ করার জন্য কোনও কড়া পদক্ষেপ করেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে পুরোপুরি উদাসীন। তিনি মনে করেন পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে। শুভেন্দু আরও বলেন এই রাজ্যে চোরেদের বাঁচানোর চেষ্টা করতেই ব্যস্ত সরকার।
Aditya L1: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের পর সূর্য মিশনের প্রস্তুতি সারা, জানুন কবে লঞ্চ করবে আদিত্য এল১
সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি লম্বা চওড়া পোস্ট করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় খাদিকুল গ্রামে তৃণমূলের ভানু বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের কথা তুলে ধরেন। বলেন, এই ঘটনাই প্রমান কররেছিল তৃণমূলের যোগ রয়েছে রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানাগুলির সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পরই রাজ্য সরকার বাজি শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করবে বলেও দাবি করেছিল। রাজ্য সরকার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরির কথাও ঘোষণা করেছিল। রাজ্য সরকার সবুজ বাজি তৈরির কথাও বলেছিল। কিন্তু এদিন দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের কথা তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, মনে হয় রাজ্য সরকারের ঘোষণা শুধুমাত্র প্রচারের জন্য, আদতে কোনও কাজ হয়নি। নজরদারিও চালান হয়নি। তিনি আরও বলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই অবৈধ বাজি কারখানার সঙ্গে যুক্ত। তাই সরকার এগুলি নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেয় না। এদিনও দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতা।
চন্দ্রযান-৩এর সাফল্যে ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
এদিন দত্তপুকুরের বাজি কারখানা থেকে প্রায় ২০০ কুইন্টাল বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। প্রচুর পরিমাণে অবৈধ বিস্ফোরক মজুত ছিল বলেও অভিযোগ পুলিশের। কারণ বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি যে যে পাকা বাড়িতে বাজি তৈরি হত সেটি পুরোপুরি ভেঙে গেছে। আশপাশের বাড়িতেও ভেঙে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পথচলতি মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছুই জানায়নি। মজুত করা বিস্ফোরকে কোনওভাবে আগুন লেগে যাওয়াতেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ বলেও দাবি করছে স্থানীয়রা।
'২০২৪ সালে ইসরোই বিজেপির নির্বাচনের হাতিয়ার', কড়া সমালোচনা মহুয়া মৈত্রর