সংক্ষিপ্ত

ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার ও বেঙ্গালুরুর স্যাটেলাইটটি অন্ধ্রপ্রদেশের SDSC-SHAR, শ্রীহরিকোটায় পৌঁছেছে। রাখা হয়েছে লঞ্চ প্যাডে।

 

চন্দ্রযান ৩ মিশনের সাফল্যের পর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মূল লক্ষ্য সূর্য মিশনের ওপর। ইসরো আগেই জানিয়েছিল, ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আদিত্য এল১ বা Aditya L1 চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শনিবার আমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের পরিচালক নীলেশ এম দেশাই জানিয়েছেন সম্ভব ২ সেপ্টেম্বর Aditya L1 লঞ্চ করা হতে পারে।

ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার ও বেঙ্গালুরুর স্যাটেলাইটটি অন্ধ্রপ্রদেশের SDSC-SHAR, শ্রীহরিকোটায় পৌঁছেছে। রাখা হয়েছে লঞ্চ প্যাডে। নীলেশ দেশাই জানিয়েছেন, সূর্য অধ্যয়নের জন্য ভারত Aditya L1 মিশন পরিকল্পনা করছে। এটি প্রস্তুত রয়েছে। লঞ্চ প্যাডে রাখা হয়েছে। সম্ভবত ২ সেপ্টেম্বর চালু করা হতে পারে।

আগেই ইসরো জানিয়েছিল মহাকাশযানটি সূর্য-পৃথিবীর সিস্টেমের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল ১ এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথ তৈরি করবে। যা পৃথিবী থেকে প্রায় দেড় কোটি মাইল দূরে। ইসরো জানিয়েছে এটির মাধ্যমে সূর্যকে অনেক স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।

Aditya L1 মিশনের মূল উদ্দেশ্যঃ

মিশনের মূল উদ্দেশ্য হল রিয়েল টাইম মহাকাশ আবহাওয়ার উপর যৌর কার্যকলাপের প্রভাব নিরীক্ষণ করা। মিশনের মাধ্যমে ইসরো করোনাল হিটিং, করোনাল ভর ইজেখশন, প্রি- ফ্লেয়ার, ফ্লেয়ার অ্যাক্টিভিটিস ও তাদের বৈশিষ্ট্য, মহাকাশ আবহাওয়ার গতিশীলতা, কণা - এগুলি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করবে। এগুলির অবস্থান ও কাজ বোঝার চেষ্টা করবে।

Chandrayaan 3: শেষ ২০ মিনিট অত্যন্ত কঠিন ল্যান্ডার বিক্রমের জন্য, চন্দ্রযান-৩ কী পরিস্থিতিতে থাকবে অবতরণের আগে

ইসরো জানিয়েছেন, ফটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার, সূর্যের বাইরের স্তরগুলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য আদিত্য এল ১ সাতটি পেলোড থাকবে। গবেষণা চালানোর জন্য মডিউলটিতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পার্টিকেল ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর থাকবে। সাতটি পেলোডের মধ্যে চারটি বিশেষ সুবিধেযুক্ত। সেগুলির মাধ্যমে এল ১ থেকে সরাসরি সূর্যকে দেখা যাবে। অন্য তিনটি আন্তঃগ্রহের মাধ্যমে সূর্যের গতিবিদ্যার প্রভাব অনুমান করার জন্য। সেই সময় কণা ও ক্ষেত্রগুলির অধ্যায়ন করবে।

চন্দ্রযান-৩এর সাফল্যে ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

সূর্য অধ্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ

পৃথিবী ও সৌরজগতের বাইরের এক্সোপ্ল্যানেটগুলি-সহ সহ প্রতিটি গ্রহ বিবর্তিত হয়- এই বিবর্তনটি তার মূল নক্ষত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সৌর আবহাওয়া ও পরিবেশ সমগ্র সিস্টেমের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। এই আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলি স্যাটেলাইটের কক্ষপথ পরিবর্তন করতে পারে বা তাদের কার্যক্ষমতাকে ছোট করে দিতে পারে। জাহাজের ইলেকট্রনিক্সে হস্তক্ষেপ বা ক্ষতি করতে পারে এবং পৃথিবীতে পাওয়ার ব্ল্যাকআউট এবং অন্যান্য ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে। সৌর ইভেন্টের জ্ঞান মহাকাশের আবহাওয়া বোঝার চাবিকাঠি।

কেমন হল মদন মিত্রের ও লাভলি? জানুন সিনেমা হলের ভিড় দেখে বিধায়কের প্রতিক্রিয়া

বিজ্ঞানীদের মূল উদ্দেশ্য হল সৌর ঝড় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। সৌর ঝড় সম্পর্কে কী করে পূর্বাভাস দেওয়া যায় তাও জানতে চান বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর দিকে আসা প্রতিটি ঝড় L1 এর মধ্যে দিয়ে যায়, সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের L1 এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে স্থাপিত একটি উপগ্রহর তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখতে চান মহাকাশে প্রয়োজনীয় জ্বালানি খরচ কমাতে কোনও পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কিনা।