সংক্ষিপ্ত
বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ অন্তত ৬ জনের মৃত্যু। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভাঙল একাধিক বাড়ি
এগরা, বজবজের পর এবার দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। দত্তপুকুরের ইছাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোচপুল পশ্চিমপাড়া এলাকায় অবস্থিত বাজি কারখানাটি। এই বাজি কারখানায় মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকার বহু শ্রমিক কাজ করেন। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আধঘণ্টা আগে তাঁরা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পান। ঘটনাস্থলে পড়ে ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে তিন জনের। আশপাশেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন দেহাংশ। কোথাও গাছের ডালে, আবার কোথাও টালির চাল থেকে মৃত ব্যক্তিদের দেহাংশ ঝুলতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, বেশ কয়েক জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১০ পেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।
বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় একধিক আহতদের বারাসত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ৭-৮ জন আহত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। যাদের মধ্যে গুরুতর আহত আছে তিনজন। গুরুতর আহত হয়েছে দুই শিশুও। একজনের বয়স পাঁচ বছর, অপরজনের সাত থেকে আট বছর। স্থানীয়রা জানান হঠাৎই বিকট শব্দে কেপে ওঠে এলাকা। যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির দেওয়াল সহ ছাদের অংশ কয়েক ফুট উপরে আকাশের দিকে উঠে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের বাড়িতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়।
রাস্তা দিয়ে যারা যাতায়াত করছিলো তাদের গায়ে এসে ইট পরে। তারাও কমবেশি আহত হন। এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চারিদিক অন্ধকার ধোঁয়া ঘিরে ফেলে। এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। এর আগে মে মাসে এগরার খাদিকুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় কম পক্ষে নয় জনের। সেই ঘটনার পর চলে ধরপাকড়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, সেই ঘটনার সাড়ে তিন মাস কাটতে না কাটতেই আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলা। এ বারও কাঠগড়ায় সেই বেআইনি বাজি কারখানা। এর ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে।