
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদঃ চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ালো রঘুনাথগঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। জানা গেছে, রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুর বিজয়পুর এলাকার গৃহবধূ হাবিবা খাতুন বয়স আনুমানিক ২৭ বছর গত মাসের ৯ তারিখ গলব্লাডার অপারেশনের জন্য ভর্তি হন ফিরোজা হেলথ কেয়ার নামের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে। অভিযোগ, সেখানে অস্ত্রোপচার করেন ডাঃ প্রীতম মিত্র। পরিবারের দাবি, অপারেশনের পরও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল, তবুও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছেড়ে দেয়।
এরপর গত ১৭ তারিখ হাবিবা খাতুন তীব্র পেট ব্যথা ও বমি নিয়ে ভর্তি হন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে চিকিৎসকেরা জানান রোগীর পেটে রক্ত জমাট বেঁধেছে। তাঁদের আরও দাবি, ফিরোজা হেলথ কেয়ারে অস্ত্রোপচারটি কোনো যোগ্য ডাক্তার নয়, নার্সিংহোমের স্টাফদের দিয়েই করানো হয়েছিল। অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে এক গৃহবধূর। মৃত্যুর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ নিয়ে ফিরোজা হেলথ কেয়ারের সামনে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে আজ রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হাবিবা খাতুনের।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পর পরিবার মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।এই ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ডাক্তার অপারেশন করেছে কোন অ্যাসিস্ট্যান্ট নয়, এই ঘটনায় ডাক্তারের পক্ষ থেকে কোনরকম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি..