পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জামাইবাবু গ্রেফতার। গর্ভপাতের পর মৃত্যু হয় কিশোরীর।
প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। গর্ভস্থ ভ্রুণের মৃত্যু হওয়ার তা বের করতে গিয়ে মৃত্যু হল নাবালিকার। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে।
ঘটনায় অভিযুক্ত জামাইবাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে বাসিন্দা সেই নাবালিকা। দীর্ঘদিন ধরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে জামাইবাবু। যার জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন জানতে পারে ঘটনাটি। ততদিনে গর্ভস্থ বাচ্চা মারা গিয়েছে। সেই বাচ্চাকে বের করে মেয়েটিকে নার্সিংহোমে ভর্তি করে। সেখানেই মৃত্যু হয় সেই মেয়েটির। ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে জামাইবাবুকে।
ধৃত মঙ্গলকোটের বাসিন্দা। সে আউশগ্রামে ঘরজামাই থাকত। মৃত কিশোরীর জেঠুর মেয়েকে বিয়ে করেছিল ধৃত সুজন সর্দার। সেখানেই এই ঘটনা ঘটিয়েছিল সে। সকলের অজান্তে শালিকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে। সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই সেই ঘটনা সামনে আসে। গর্ভস্থ বাচ্চা মারা গেলে মেয়েটিকে নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। সেই বাচ্চা বের করতে গিয়েই প্রয়াত হয় নাবালিকা।
মৃতার দাদা জানান, আমরা প্রথমদিকে ঘটনার কথা জানতান না। বুধবার আমার বোনের পেটে যন্ত্রণা হলে আউশগ্রামের জামতাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা বুঝতে পারে বোন প্রায় চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভের সন্তান মারা গিয়েছে। কিন্তু, হাসপাতালের চিকিৎসক জবাব দেওয়ার পর বর্ধমানে নিয়ে গিয়ে বোনকে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে। রাতে অল্প খাবারও খায় কিশোরী। কিন্তু, অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জামাইবাবুকে গ্রেফতার করে। প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করত বলে খবর। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই অন্যায় করে গিয়েছে জামাইবাবু। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের।