কালীপুজোর আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেদার আতসবাজি পোড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার এই আতসবাজি থেকেই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
সারা বাংলা যখন কালীপুজো, দীপাবলি উপলক্ষে আনন্দে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল তিনজন। মৃতদের মধ্যে দুই শিশু আছে। এক কিশোরীও এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আতসবাজি থেকে একটি বাড়ি এবং দোকান পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারাল তিনজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুর অঞ্চলে একটি বাড়িতে আতসবাজি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই বাড়িতে কালীপুজো উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে আতসবাজি এনে জড়ো করে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধেবেলা সেই আতসবাজিই পোড়াচ্ছিল দুই শিশু ও এক কিশোরী। তারা বাড়ির বাইরে কোনও ফাঁকা জায়গায় গিয়ে আতসবাজি পোড়ানোর বদলে ঘরের মধ্যেই আতসবাজি পোড়াচ্ছিল। এর ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ফুলঝুরি থেকে আগুনের ফুলকি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। যে ঘরে আতসবাজি পোড়ানো হচ্ছিল, সেই ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় দুই শিশু এবং তাদের সঙ্গে থাকা কিশোরীর পক্ষে ঘরের বাইরে বেরনো সম্ভব হয়নি।
বাড়ির বড়রা কী করছিলেন?
আতসবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সবসময়ই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সেখানে ঘরের মধ্যে তিন নাবালক-নাবালিকা আতসবাজি পোড়াচ্ছিল। তাদের অভিভাবকরা সেই সময় কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন, সেই প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উলুবেড়িয়ার উৎসব বদলে গেল শোকে
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই বাড়ি থেকে পাশের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁদের নজরে আসে। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। তাঁরা পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দমকল কর্মীরাও দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান। ঘরের মধ্যে আটকে পড়া দুই শিশু ও এক কিশোরীকে উদ্ধার করার চেষ্টা হয়। কিন্তু তাদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় উলুবেড়িয়ায় শোকের ছায়া। উৎসবের আলো বিষাদে পরিণত হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
টেরিটি বাজারের কাছে কাঠের বাক্সের গুদামে আগুন, ঘিঞ্জি অঞ্চলে ছড়াল আতঙ্ক