মালদহের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকার। একটা সময় কাউন্সিলর ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের সহ-সভাপতি। ২ জানুয়ারি তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কতৃীরা।
পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি
পুলিশ জানিয়েছে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়েছিল। ঝাঁঝরা হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
গ্রেফতার ২
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ পুলিশ। তাদের জেরা করেই পাওয়া গেছে প্রচুর তথ্য। ধৃতরা হল মহম্মদ সামি আখতার ও টিঙ্কু ঘোষ।
১০ দিন রেকি
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে রীতিমত পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে দুলাল সরকারকে। পুলিশ সূত্রের খবর, ১০ দিন ধরেই রেইকি করা হয়েছিল।
রেইকি করে খুন
দুষ্কৃতীরা নিখুঁতভাবে রেইকি করেছিল। কখন দুলাল সরকার কোথায় যায়, কোথা থেকে আসে - সবই খতিয়ে দেখেছিল। তারপরই খুনের পরিকল্পনা করে
খুনে বিহার যোগ
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা জেরায় কবুল করেছে তারা খুনের পর বিহারে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্য পুলিশ ও বিহার পুলিশের যৌথ অভিযানে বিহার থেকে গ্রেফতার আরও ১। তাতেই স্পষ্ট তৃণমূল নেতা খুনে বিহার যোগ রয়েছে।
একজনের বাড়ি ইংরেজবাজারে
ইংরেজবাজারের গাবগাছি এলাকার বাসিন্দা টিঙ্কু। অন্যজন বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা।
বড়দিনে খুনের পরিকল্পনা
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, প্রথমে দুলাল সরকারকে বড়দিনের অনুষ্ঠানে খুনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেখানে প্রবল ভিড় ছিল। দুলালকে একা না পাওয়ায় খুন করা যায়নি।
গাড়ি ধাওয়া
দুলাল সরকারের গাড়ির চালক পুলিশকে জানিয়েছে ঘটনার দিন তাদের গাড়ি ধাওয়া করেছিল দুই বাইক আরোহী। গাড়ির চালক সেটা দুলাল সরকারকেও জানিয়েছে। তিনি গাড়া না থামাতেই নির্দেশ দেন।
প্লাইউড কারখানায় গুলি
তবে নিজের প্লাইউড কারখানা আসার পরই রীতিমত ভয়শূন্য হয়ে গাড়ির দরজা খুলে নেমে যান। তারপর দুষ্কৃতীরা তাঁর কারখানায় ঢুকেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুলাল সরকারকে।