পাঁচজন নয়! দুর্গাপুর গণধর্ষন কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বড়ে হল ছয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী। তারপরই মেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষন কাণ্ডে আরও একজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। যারফলে ধৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে হল ছয়। এই অভিযুক্ত নির্যাতিতা তরুণীর সহপাঠী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
25
কী বলছেন পুলিশ কমিশনার
এই বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেন যে, ‘’মেডিকেল পড়ুয়াকে গণধর্ষন কাণ্ডে নির্যাতিতার সহপাঠীরাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা যে পোশাক পরেছিল সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবং সবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।''
35
মূল ধর্ষণকারী কয়জন?
এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন যে, ‘’গত শুক্রবার হাসপাতালের তরফে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ ভ্যান। গ্রেফতার হয় চার অভিযুক্তকে। পরে রবিবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার নির্যাতিতার সহপাঠীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফলে দুর্গাপুর গণধর্ষন কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬। নির্যাতিতার বন্ধুকে নিয়ে ঘচনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সমস্ত দিকটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।''
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী একজনই তাঁকে ধর্ষন করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও তদন্ত যে খানিকটা বাকি রয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার। এবং বাকি তথ্য নির্যাতিতার মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
55
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?
দুর্গাপুর গণধর্ষন কাণ্ডে নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে খাবার খেতে বেরিয়েছিল তাদের মেয়ে। তারপরই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। গোটা বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের সুরক্ষা ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন ছাত্রীর বাব-মা। তাদের মেয়েকে যে আর দুর্গাপুরে রেখে পড়াবেন না সে কথাও জানিয়েছেন তরুণীর বাবা। তবে এখন দেখার দুর্গাপুর কাণ্ডের ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়।