
Durgapur Crime News: দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় এবার রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা। পশ্চিমবঙ্গে মেয়ের কোনও সুরক্ষা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে মেয়েকে তিনি যে পাকাপাকি ভাবে ওড়িশায় নিয়ে যেতে চান সেই কথাও ঘোষণা করেছেন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা।
এখানেই শেষ নয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এবং প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থাকে 'ঔরঙ্গজেবের আমলের শাসন ব্যবস্থার' সঙ্গে তুলনা করে তিনি আরও বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গের থেকে আমার ওড়িশা অনেক ভালো। সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। এখানে আমার মেয়ে সুরক্ষিত নয়।'' নির্যাতিতা ওই ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীর বাবা আরও জানান যে, তিনি মেয়েকে চিকিৎসক তৈরি করার স্বপ্ন নিয়ে দুর্গাপুরে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এখানে এসে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। তার সব স্বপ্ন মাঠে মারা গেলো বলেও জানান নির্যাতিতার বাবা।
তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, ''আমার মেয়েকে আমি বাড়ি নিয়ে চলে যাব। এখানে আর রাখব না। এখানে মেয়ে আমার সুরক্ষিত নয়। মেয়েকে ওড়িশার জলেশ্বরে নিয়ে চলে যাব। এখানে মেয়ের সুরক্ষা নেই। তিনি আরও জানান, ওড়িশা সরকার তাকে সবরকম সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি ওড়িশা সরকারের তরফে নির্যাতিতা তরুণীকে ফের ওড়িশায় ডাক্তারি পড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওড়িশা সরকারের ডিজি, ডিএসপি, এএসপি সহ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও তার মেয়ের খোঁজ নিয়েছেন।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও প্রশাসনের সেভাবে কোনও সহযোগিতা না মেলায় তিনি ক্ষুদ্ধ ও হতাশ। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতা ডাক্তারি তরুণীর বাবা। এমনকি রাজ্য সরকারের তরফে তিনি যে কোনও রকম সাহায্য পাননি। সরাসরি অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক শিবির তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরে কিশোরীকে গণধর্ষন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল পঞ্চম অভিযুক্তকেও। সোমবার দুপুরবেলার দিকে দুর্গাপুর গণধর্ষন কাণ্ডের অন্যতম পঞ্চম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে রবিবার গ্রেফতার করা হয় চতুর্থ অপরাধীকে। ধৃতদের আজই আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, গত সপ্তাহে শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসের বাইরে বেড়িয়ে গণধর্ষনের শিকার হন মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই তিন অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। পরে রবিবার গ্রেফতার হয় চতুর্থ জন এবং সোমবার বেলার দিকে পঞ্চম অপরাধীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের সকলকে আজই আদালতে হাজির করানো হবে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী তার লিখিত বয়ানে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। সেইমত ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পাঁচজনকেই গ্রেফতার করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।