শুক্রবার সাড়ে সাতটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডির পাঁচ আধিকারিক।
নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল সন্দেশখালি। কারণ এই রাজ্যে সারদাকাণ্ড থেকে শুরু হয়েছে সিবিআই আর ইডির তল্লাশি অভিযাগ। নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি রেশন দুর্নীতির তদন্তও চলছে। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীকে। কিন্তু এই প্রথম তল্লাশি অভিযানে নিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকারিকদের। রেহাই পেল না তাদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। কারণ এদিন প্রায় ২০০ জন চড়াও হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের ওপর। এই ঘাটনায় মাথা ফেটে জখম হয়েছে ইডির এক সদস্য। শেষপর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে পুলিসের নৌকার ওপরই ভরসা করতে হয় তাদের। যদিও গোটা ঘটনায় নিস্ক্রীয় ছিল পুলিশ প্রশাসন।
ঘটনার সূত্রপাত- শুক্রবার সাড়ে সাতটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডির পাঁচ আধিকারিক। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও। সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। সেখানেই বাধার মুখে পড়তে হয়। রুখে দাঁড়ায় গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের প্রায় ২০০ জন তাদের ওপর চড়াও হয়। প্রথম সারিতেই ছিল মহিলারা। এই ঘটনায় অল্প সময়ের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সরিয়ে দেওয়া হয়। ইডিও আধিকারিকরাও প্রাণ হাতে করে নিয়ে চলে আসে।
যদিও অনেকের দাবি এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে। ইডি ও বাংলার রেশন বন্টন কেলেঙ্কারির তদন্ত অফিসার রবিন্দর দাহিয়ার গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। সন্দেশখালিততে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর নৃশংস হামলা। হামলায় অভিযুক্তদের শুভেন্দু রোহিঙ্গা বলে দাবি করেছেন। অনেকটা একই সুর বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের গলায়। তিনিও বলেছেন, শাহজাহান শেখ সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গা বস্তি তৈরি করেছেন। এই হামলার দায় রোহিঙ্গাদের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।