কার মদতেই কয়লার কালো-কারবার? সন্দেশখালির শাহজাহানের অত্যাচারের নয়া তথ্য ইডির হাতে

Published : Jun 10, 2024, 03:25 PM IST
Sheikh Shahjahan

সংক্ষিপ্ত

শেখ সাহাজান ২০১৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল। সন্দেশখালির আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সরবেড়িয়ার উপ-প্রধান হয়েছিল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ছিল শাহজাহানের মাথার উপর। 

যত দিন যাচ্ছে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান সম্পর্কে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। তদন্তে গিয়ে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর শাহজাহানের দাপটে নাভিঃশ্বাস উঠেছিল সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁর অত্যাচার আর চাহিদার কারণে অনেকেই ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতেও বাধ্য় হয়েছিল। তেমনই দাবি করছে একটি সূত্র। সূত্রে খবর শাহজাহানের উত্থান থেকে শুরু করে তাঁর রাজত্ব প্রতিষ্ঠা - সবেই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালীদের মদত। সম্প্রতি কয়লা পাচারকাণ্ডেও যে শাহজাহান যুক্ত চিল তার সন্ধান পেয়েছে ইডি। তাতেই উঠে এসেছে 'শাহজাহান-কর'এর কথাও।

ইডি সূত্রের খবর, শেখ সাহাজান ২০১৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল। সন্দেশখালির আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সরবেড়িয়ার উপ-প্রধান হয়েছিল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ছিল শাহজাহানের মাথার উপর। তৃণমূলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল। শাহজাহানকে পঞ্চায়ের উপপ্রধান করার পিছনেও ছিল জ্যোতিপ্রিয় প্রচ্ছন্ন মদত। সূত্রের খবর শাহজাহান এলাকায় কয়লার চোরাকারবার চালাত। কয়লাক চোরা কারবারের মূল পাণ্ডাও বলা যেতে পারে। সূত্রের খবর খুবই নিম্নমানের কয়লা বিক্রি করত, সেই নিম্নমানের কয়লা এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীদের চড়া দামে কিনতে বাধ্য করত। ইটভাটার মালিকদেরও চড়া দামে নিম্নমানের কয়লা কিনতে বাধ্য করা হত। এলাকায় 'শাহজাহান-কর' চালু করেছিল। ইটভাটার মালিকদের থেকে জোর করে টাকা আদায় করা হয়। আর এই জুলুমবাজির জম্য প্রায় ১০০ গুন্ডাকেও পুশেছিল শাহজাহান। যা সন্দেশখালি এলাকায় শাহজাহান বাহিনী নামেই পরিচিত। ইডি সুত্রের খবর শাহজাহানের চাহিদা মেটাতে এক ইটভাটা মালিক নিজের ইট ভাটা বিক্রি করতেও বাধ্য হয়েছিল। অনেক কম দামেই ছেড়ে দিতে হয়েছিল ইটভাটা।

ইডি সূত্রের খবর শাহজাহানের এই বেনামী সাম্রাজ্যের বিস্তার ছিল সমন্দেশখালি থেকে ন্যাজাট পর্যন্ত। প্রায় ২৯ জন ইটভাটা মালিকের ওপর শাহাজাহানের জুলুমবাজি চলত। এই এলাকার পুরো কয়লা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ছিল শাহজাহানের হাতে। কিন্তু অনেক ইট ভাটার মালিকরাই শাহাজাহানের কথা জানতেন না। সাগরেদদের সামনে রেখেই জুলুমবাজি চালাত শাহজাহান। ইডি সূত্রের খবর, এলাকায় ইটভাটা মালিকদের কাছে টন প্রতি কয়লা প্রায় ২-৩ হাজার টাকা বেশিতে বিক্রি কর। ইডি সূত্রের খবর ২০১৬ সাল থেকেই এলাকায় অবৈধ কয়লার কারবার ফেঁদে বসেছিল শাহজাহান।

PREV
click me!

Recommended Stories

জলপাইগুড়িতে বিএলও-এর মৃত্যু, নির্বাচন কমিশনকে দায়ী মমতার, পাল্টা দিলেন শুভেন্দু
Nadia News: নদিয়ায় হঠাৎ দু’জন শীর্ষ নির্বাচনী আধিকারিক! SIR নিয়ে কি ঘটতে চলেছে বড় কিছু?