এর আগে একটি জনস্বার্থ মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে হাইকোর্টের গ্রাষ্মাবকাশকালীন বেঞ্চে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার তীব্র সমালোচনা করেছিল।
ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত রাজ্য। রাজ্য বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। আসন কমেছে গতবারের তুলনায়। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনই অভিযোগ তুলে ও দলের নেতা ও কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দুর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
যদিও এর আগে একটি জনস্বার্থ মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে হাইকোর্টের গ্রাষ্মাবকাশকালীন বেঞ্চে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার তীব্র সমালোচনা করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই নিতে হবে। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধ করার জন্য রাজ্যকে কড়া নির্দেশও দিয়েছিল। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও রাজ্যে একাধিক জায়গায় হিংসা হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। এই অভিযোগ তুলেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
BJP: বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে রদবদল? সুকান্তর জায়গায় দিলীপ না শুভেন্দু- লড়াই জোরদার
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে ১ জুন। ফল প্রকাশ হয়েছে ৪ জুন। কিন্তু এই পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাষ্ট্রবাদী আইনজীবী সংগঠন নামে একটি সংগঠন একটি মামলা দায়ের করেছে। সংগঠনের দাবি রাজ্যে বিভিন্ন স্থানে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। যে তাতে প্রাণহানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য ও কেন্দ্রকে যৌথভাবে নিতে হবে। মামলাকারীদের অভিযোগ এপর্যন্ত রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশ কোনও অভিযোগই নিতে চাইছে না। যদিও আদালতে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার।
আগের মামলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে এই ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগ ইমেলের মাধ্যমে নিতে হবে। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে পদক্ষেপ করতে হবে। নির্দিষ্ট থানায় ডিজিও অভিযোগ পাঠাবে। থানাকেই নিজের উদ্যোগে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। প্রতি ঘটনায় আইন অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।