অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, টিএমসি, ইন্ডিয়া ব্লক, ইডি, ইডির নোটিশ, অভিষেককে ইডির নোটিশ, Abhishek Banerjee, TMC, India Block, ED, ED Notice, ED Notice to Abhishek, মমতা ব্যানার্জি, Mamata Banerjee,
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে বেরিয়ে এলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতর থেকে। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, 'আমাকে ৯ থেকে সাড়ে ৯ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস হল মাইনাস ২। ইডির অফিসের কর্মীদের আমি কোনও দোষ দিই না। তারা রাজনৈতিক প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে চাইছে।' অভিষেক বলেন ধুপগুড়ি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই তৃণমূলকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন এই কাজ করলে তৃণমূলের প্রতি মানুষের জনসমর্থন বাড়বে।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিন ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক ছিল। আগে থেকেই দিনক্ষণ স্থির হয়েছিল। কিন্তু ইডি তাঁর বৈঠকে যাওয়া আটকাতেই ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছিল। তিনি বলেন, কেউ চাইছে না তিনি বৈঠকে যোগ দিন, সেই জন্যই একটি নির্দেষ্ট দিনেই ডাকা হয়েছে। যদি তা না হয়ে তাহলে ১২ বা ১৪ সেপ্টেম্বরও তাঁকে তলব করা যেত। তবে তিনি এদিন ইডি-র অফিসারদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। সাধ্যমত সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তদন্তের বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে করবেন না বলেও জানিয়েছেন। লিপস অ্যান্ড বাউন্সে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও টাকা ঢোকেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেক বলেন সমন্বয় কমিটির বাকি সদস্যদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন বৈঠক চালিয়ে যেতে। কারণ ইন্ডিয়া জোট দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থেই কাজ করছে। তাই জোটের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তিনি ইডির অফিসে হাজিরা দেবেন বলেও জানিয়েছেন।তিনি ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা জনিয়েছেন।
এদিন অভিষেক জানিয়ে দেন তাঁকে ৯ থেকে সাড়ে ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে। আগেও একাধিকবার তদন্তকারী সংস্থার সামনে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তদন্তকারীরা যদি তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে জেরা করে তাহলেও তাঁর শিরদাঁড়া শক্ত থাকবে। তিনি নিজের শিরদাঁড়া বিক্রি করবেন না বলেও জানিয়েছেন। এদিন অভিষেক নাম না করে সরাসরি নিশানা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে। তিনি বলেন যাঁরা ক্যামেরার সামনে টাকা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না।
অভিষেক বলেন, ১৪ দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় কমিটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু অন্য কোনও দলের নেতারা এই নোটিশ পায়নি। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই পেয়েছে। তার অর্থই হল তৃণমূলকেই হেনস্থা করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।