প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জেরা করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের। এর আগেও একাধিকবার তৃণমূল নেতাকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়়িয়ে বিকেল। এখনন সন্ধ্যে- এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডির অফিসে যান অভিষেক। সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। এখনও ছাড়া পাননি তিনি। রবিবার তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ই অভিষেক মোদীকে নিশানা করেছিলেন।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জেরা করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের। এর আগেও একাধিকবার তৃণমূল নেতাকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই তাঁকে জেরা করেছে সিবিআই। তবে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম জেরা করা হচ্ছে অভিষেককে। ইডির নোটিশের কারণে এদিন দিল্লিতে সমম্বয় কমিটির বৈঠকে যেতে পারেননি অভিষেক। তাই নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।
যদিও এদিন অভিষেক হাজিরা দেওয়ার আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছিলেন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি হয়। অভিষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি রক্ষকবচের আর্জি জানান। পাল্টা ইডি-র আইনজীবী জানিয়ে দেন, এখন কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর। এর আগেও একবার রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক নিয়ে কলকাতায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। এদিন অভিষেক সমন্বয় কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিতির কারণে একটি চেয়ার খালি রাখা হয়। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের অভিযোগ অভিষেকের আসা আটকাতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, অভিষেক তদন্তে ভয় পায় না। বাঘের বাচ্চার মতই হাজিরা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতেই এই চক্রান্ত করছে। তবে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের শরিক অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস চায় সব চোর ধরা পড়ুক। আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। তাই এখানে তাদের বলার কিছুই নেই। তবে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। তাঁর মতে এটা জোটের বৈঠক নয়। একাধিক কমিটি তৈরি হয়েছে তারই একটির বৈঠক।