জীবনের 'কাঁটা' বিধানসভার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট, কোথায় পেলেন লক্ষ লক্ষ টাকা

Published : Aug 27, 2025, 05:37 PM IST

জীবনকৃষ্ণ সাহার রাজনৈতিক জীবন খুবই অল্প দিনের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২১ -এর নির্বাচনে জীবনকৃষ্ণ সাহা নির্বাচনী কাজে খরচ করেছিলেন ২৫ লক্ষ টাকা। 

PREV
15
জীবনকৃষ্ণ সাহা

তৃণমূল কংগ্রেসের বড়েঞার বিধায়ক। SSC নিয়োদ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে। আগেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বছরখানেক আগে সুপ্রিম কোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু সোমবার আবার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। নজরে বেআইনি লেনদেন। জীবনকৃষ্ণ সাহা পেশায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক। বিধায়কও। কিন্তু তাঁর ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে কোথা থেকে এল লক্ষ লক্ষ টাকা? উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

25
কোথা থেকে এল টাকা?

জীবনকৃষ্ণ সাহার রাজনৈতিক জীবন খুবই অল্প দিনের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২১ -এর নির্বাচনে জীবনকৃষ্ণ সাহা নির্বাচনী কাজে খরচ করেছিলেন ২৫ লক্ষ টাকা। কোথা এল এই বিপুল পরিমাণ টাকা। ইডি সূত্রের খবর, খরচের হিসেব দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। ইডি জানতে চেয়েছে এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কী ? কারণ তখন তাঁর কোনও রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। আবার তিনি কোনও ব্যবসাও করতেন না। তাই কোথা থেকে এল বিপুল পরিমাণ টাকা- জানতে চায় ইডি।

35
ইডির নজরে জীবনকৃষ্ণের অ্য়াকাউন্ট

ইডির নজরে রয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিধানসভার ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ২০২৪ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিলে জীবনকৃষ্ণর বিধানসভার বেতনের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর গ্রেফতারির সময় থেকেই এই অ্য়াকাউন্ট সিজ করে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ই়ডির অভিযোগ দ্বিতীয়বার গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করেছেন। গত কয়েক মাসের তথ্য হাতে রয়েছে আধিকারিকদের।

45
বিধানসভার অ্য়াকাউন্ট

বিধানসভার সচিবালয়ের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হলে বিধানসভার তরফ থেকে সব বিধায়ককেই একটি করে বেতনের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। তিনি যত দিন বিধায়ক পদে থাকেন তত দিন ওই অ্যাকাউন্টে বিধায়কের বেতন-সহ বিভিন্ন ভাতা দেওয়া হয়। পরে বিধায়কের মেয়াদ ফুরোলে তাঁর পেনশন পাঠানো হয় ওই অ্যাকাউন্টেই।

55
কাঁটা অ্যাকাউন্ট

২০২১ সালে বড়ঞা থেকে প্রথম বার তৃণমূলের টিকিটের জয়ী হয়ে বিধায়ক হওয়ার পর বিধানসভার তরফে ওই অ্যাকাউন্টটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে প্রথম বার গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআইয়ের পদক্ষেপের কারণে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন দেওয়া স্থগিত করে দেন বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত বছর জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি খোলা নিয়ে বিধানসভায় একাধিক বার দরবার করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। অ্যাকাউন্ট ব্যবহারযোগ্য হওয়ার পর সেই লেনদেনের কাজকর্ম শুরু করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই বিধায়ক

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories