ব্রাত্য বসু বলেন, 'আমি অস্বীকার করছি না এই রকম সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা যত দ্রুত নিয়োগ করতে পারব তত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।'
নিয়োগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এবার সেই অভিযোগে শিলমহর দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যে কোথাও একজন শিক্ষক রয়েছে, কোথাও এবার হাতেগোনা। কিন্তু পড়ুয়া সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি সামনে এসেছে তেমনই একাধিক স্কুলের ঘটনা। তাতেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মাথা দুলিয়ে সায় দিয়েছেন শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে।
ব্রাত্য বসু বলেন, 'আমি অস্বীকার করছি না এই রকম সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা যত দ্রুত নিয়োগ করতে পারব তত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।' আলিপুরদুয়ার আর মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দুটি স্কুলের কথা সামনে আসেছ আলিপুরদুয়ারে সরকারি স্কুলে ছাত্র সংখ্যা খাতায় কলমে ১৬৫। কিন্তু স্কুলে আসে ৬-৭ জন। কিন্তু সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা ১৪। অভিভাবকদের অভিয়োগ চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারাও নিজের নাম ঠিক মত লিখতে পারে না। অন্যদিকে মালদার হরিশ্চচন্দ্রপুরে -একজন মাত্র শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চারটি শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি মিড ডে মিলের বাজার ও অফিসের সমস্ত কাজ সামলাতে হয় প্রধান শিক্ষককে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া বাংরুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের এই হাল।পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওই কেন্দ্রটিতে মোট ৮১ জন পড়ুয়া রয়েছে।শিক্ষককে একটি ক্লাস নিতে গেলে অন্য ক্লাস ফাঁকা থাকছে।
রাজ্যের একাধিক স্কুলে ফুটে উঠছে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশাটা। রাজ্যের বিরোধীদলগুলি অধিকাংশ সময়ই যা নিয়ে সরব হয়। এবার রাজ্যের বেহাল শিক্ষা ব্যবস্থার কথা কার্যত মেনে নিলেন ব্রাত্য বসু।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।