
Special Intensive Revision: ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও, রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিকের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁদের সাসপেন্ড করতে বলে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India), সেই নির্দেশ মানবে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট হতে দেব না। নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি। তা সত্ত্বেও কমিশন অতিসক্রিয়। এখন থেকেই সাসপেন্ড করতে শুরু করেছে। বিজেপি-র বন্ডেড লেবার। রাজ্যের সরকারি অফিসার, পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।’ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, 'নির্বাচন কমিশন অমিত শাহের (Amit Shah) হাতের পুতুল। যে দিকে নাচাবেন, সে দিকেই নাচবে।'
বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision) নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC) চালুর উদ্দেশ্যেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ শুরু করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোচবিহারের রাজবংশী ভাষাভাষী তফসিলি জনজাতিভুক্ত মানুষকে আপনারা নোটিস পাঠাচ্ছেন অসম থেকে! এটা অপরাধ। এটা করতে পারেন না। এনআরসি হবে না। এনআরসি মানি না। নোটিস পাঠালে কেউ যাবেন না। গেলেই জেলে পুরে দেবে। ভোটার লিস্টের নামে বিজেপি পার্টির লিস্ট তৈরি করবে। অসমে বিজেপি সাত লক্ষ বাঙালি হিন্দুর নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে।’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় গরমিলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে ভোটার তালিকার কাজ নিয়ে জটিলতা বাড়ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।