এই বিলের মধ্যে, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত অনেক বিধি তৈরি করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য একটাই, রাজ্যে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমন করা।
৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজে একজন জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে, যার পরে মানুষ বর্তমানে রাজ্যের রাস্তায় ন্যায়বিচারের আবেদন করছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কলকাতার লাল বাজারের রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন এবং শুধু কলকাতার নির্ভয়ার বিচার দাবি করছেন না, মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
কলকাতা ধর্ষণ মামলার জন্য শুধু রাজ্যে নয়, সারা দেশেই সোচ্চার হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষণবিরোধী বিল আনার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বিধানসভায় এই বিল পেশ করা হয়েছে। এই বিলের নাম অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল ২০২৪। এই বিলের মধ্যে, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত অনেক বিধি তৈরি করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য একটাই, রাজ্যে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমন করা।
কি আছে এই বিলে-
ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান
এই বিলে চার্জশিট দাখিলের ৩৬ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকবে।
শুধু ধর্ষণ নয়, অ্যাসিড হামলাও সমান গুরুতর অপরাধ, যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে এই বিলে।
প্রতিটি জেলায় বিশেষ বাহিনী-অপরাজিতা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
এই অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স ধর্ষণ, অ্যাসিড হামলা বা শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে।
এই বিলে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যোগ করা হয়েছে, তা হল, কেউ যদি নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগেও এই ধরনের বিল আনার চেষ্টা করা হয়েছিল-
রাজ্যে এই বিল পেশ করতে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। যদিও এটি প্রথমবার নয় যে কোনও রাজ্য সরকার নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং গুরুতর অপরাধের জন্য এই ধরনের বিল আনল, এর আগেও দুটি রাজ্য এই ধরনের বিল আনার চেষ্টা করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ২০১৯ সালে দিশা বিল আনার চেষ্টা করেছিল এবং মহারাষ্ট্র ২০২০ সালে শক্তি বিল আনার জন্য একটি প্রচার শুরু করেছিল, কিন্তু বিলটি অনুমোদিত হয়নি।
কলকাতার ধর্ষণের মামলাটি বর্তমানে সিবিআই-এর হাতে রয়েছে এবং সিবিআই মামলার প্রতিটি স্তর উন্মোচন ও তদন্ত করছে। ২ সেপ্টেম্বর সিবিআই দুর্নীতির অভিযোগে মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে।